ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দপুরে নববধু মুক্তার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় শহরের প্রেসক্লাবের সামনে পার্লার মালিক এসোসিয়েশন ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নববধু মুক্তার ১৬ দিন আগে বিয়ে হয় শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাবলু মিয়ার ছেলে রানার সঙ্গে। বিয়ের পর ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর পর অভিমানে মুক্তা তার পিতার বাড়ি, শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্দল মহল্লায় চলে যান। পরে তার পিতার পরিবারের সদস্যরা মুক্তাকে বুঝিয়ে ৪ জানুয়ারী স্বামী রানার কাছে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতে মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মেহের আফরোজ বলেন, ওই রাতে তার স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে গভীর রাতে ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে, স্বামীর পাশে অতি ভোরে নববধু মুক্তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে, তার স্বামী ঘরে প্রবেশের সময় নববধু মুক্তা শ্বাশুড়ির সঙ্গে ছিলেন। তাহলে কীভাবে তার স্বামী তাকে হত্যা করতে পারেন? আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাকে এবং প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পার্লার ব্যবসায়ী লিপি বলেন, সদা হাস্যজ্জল মুক্তার সদ্য বিয়ে হয়েছে। সে তার স্বামীকে খুশি রাখতে সবসময় তৎপর ছিল। সে কী অপরাধ করেছিল? তাকে কেন হত্যা করা হল? যদি ভালো না লাগত, তবে তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। অন্তত তার মা-বাবা সন্তানের মৃত্যুর পর কিছু সান্তনা পেতেন।
সাংবাদিক এম আর আলম বলেন, মুক্তাকে আগে হত্যা করা হয়েছে, পরে তার স্বামীকে ঘরের মধ্যে শোয়ানো হয়েছে। তার মাদকাসক্ত স্বামী, শ্বাশুড়ি এবং ননদ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাই সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উন্মোচন হবে।
এ সময় সৈয়দপুর প্লাজার ব্যবসায়ী ইলা, শিলা এবং নববধুর পরিবারের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
মারিয়া