ছবি: সংগৃহীত
ভারত সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সাথে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দিচ্ছে আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনার আমলে তারা নীরব থাকলেও অনুমোদিত ঋনের কিস্তি ছাড়ে এখন জুড়ে দিচ্ছে নানা শর্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভ্যাট,শুল্ক বাড়ানোর মত অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ কর্মকর্তাদের কারণে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতা গোবিনাথ আইএমএফের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা। সংস্থাটির জেষ্ঠ্য উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। যেকোনো দেশের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন ও ছাড়ে সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অবাধ লুটপাট চললেও নিরব ছিল আইএমএফ। রাষ্ট্রীয় অপচয়, সীমাহীন দুর্নীতি,রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতা সত্ত্বেও সংস্থাটি সোচ্চার ছিল না। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, আইএমএফের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা বরাবরই ভারতের প্রভাবিত ছিল। দেশের পলিসি তো অন্য কোনো দেশের পলিসি দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না।
গুঞ্জন রয়েছে, ভারত সরকারের প্রতি নতজানু থাকায় হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মকর্তারাও সক্রিয় ছিলেন। আর এরই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে চাহিদার চেয়েও বেশি অর্থ্যাৎ ৪৫০ কোটি ডলার চাহিদার বিপরীতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। আর এতে হাসিনা সরকারকে নিঃশর্ত সহায়তা করে গীতা গোবিনাথ।
অর্থনীতিবিদ ড.মাহফুজ কবীর বলেন, আইএমএফের শীর্ষ নির্বাহি পদে ভারতীয়রা রয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলো রয়েছে তার সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের অর্থছাড় নীতিগুলো করেছে।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মহাপরিচালক পদে আছেন আরেক ভারতীয় কৃষ্ণ শ্রীনিবাস। হাসিনা সরকারের পতনের পরই অনুমোদিত ঋণের চতুর্থ কিস্তি দিতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে নানা শর্ত। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হচ্ছে অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত। শতাধিক পণ্য ও সেবায় বাড়াতে হয়েছে ভ্যাট ও শুল্ক। দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সংস্থার সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আছে তবে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন সহায়তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সূত্র: একুশে টিভি
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=uTG62U6n19Q
নাহিদা