বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে আশানুরূপ সাড়া
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চল্লিশপাড়া সীমান্তের পদ্মার শাখা নদীর ওপারে দেশের বিপুল পরিমাণ অরক্ষীত ভূমি উদ্ধার তৎপরতায় বিজিবি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে স্থাপন করা হবে সীমানা পিলার। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে দুই দেশের যৌথ সার্ভে। বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে মিলেছে আশানুরূপ সারা।
দৌলতপুরের চল্লিশপাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের মুর্শিদাবাদ পরেছে জলাঙ্গী সীমান্তে। দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তের দুই দেশের বিস্তৃত এলাকা অরক্ষীত। নেই কোনো সীমানা পিলার। বাংলাদেশ অংশের আন্তর্জাতিক সীমানায় উড়ছে সাদা পতাকা। অবশেষে চল্লিশপাড়া সীমান্ত এলাকায় অরক্ষীত ভূমি ফিরে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দ্রুতই সেখানে স্থাপন করা হবে সীমানা পিলার। সেই সঙ্গে ভারতও ফিরে পাচ্ছে অরক্ষীত অংশ।
পদ্মার শাখা নদীর তীর ঘেষে জেগে ওঠা ভূখণ্ড সম্পূর্ণ রুপে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় এই অঞ্চলের মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, ২৫ বছর পরে জমি ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে। আমদের জমি আমরা ফিরে পেতে যাচ্ছি তাই আমরা খুশি।
বাংলাদেশের সীমান্তে পিলার স্থাপনের মিলেছে আশানুরূপ সারা। দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ঠিক রেখে নেওয়া হবে কার্যকরী পদক্ষেপ।
বিজিবির কুষ্টিয়ার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মারুফুল আবেদিন বলেন, ‘যেহেতু নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে এবং নতুন চর জাগ্রত হয়েছে তখন আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি জয়েন্ট সার্ভের মাধ্যমে আমার আমাদের শূন্যরেখাটা পরিবর্তন করে মার্কিং করি।’
বিজিবির কুষ্টিয়ার ব্যাটালিয়ন-৪৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের আমরা এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা ছাড় দেইনি। সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে এবং কার্যক্রম পুরোপুরি চালু রেখেছি।’
এম হাসান