ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সংবিধান, নির্বাচন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন

চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আজ

উত্তম চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

চার সংস্কার কমিশনের  প্রতিবেদন জমা আজ

.

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করবে সংবিধান সংস্কার কমিশন নির্বাচন সংস্কার কমিশন। সংসদ হবে দুই কক্ষের, মোট আসন ৫০৫টি। এর মধ্যে সংসদের নিম্নকক্ষের আসন থাকবে ৪০০, উচ্চকক্ষে ১০৫। আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট হবে উচ্চকক্ষে। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না- এমন সুপারিশ আনছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র পুলিশের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করবে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

ছাড়া দুদকের সচিব থেকে পরিচালক পর্যায়ের পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার সুপারিশ আনছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলেরও সুপারিশ আসছে প্রতিবেদনে। এর ফলে এমপিরা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। ছাড়া ব্যালট পেপারেনাভোট বিকল্পের পুনঃপ্রবর্তন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের সুপারিশ আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত আলোচিত চারটি সংস্কার কমিশন আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। অন্যান্য সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় নিয়েছে। সব প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন আজ বুধবার তাদের প্রতিবেদন  জমা দেবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সংস্কার কমিশনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবে। লক্ষ্যে তাদের প্রতিবেদনে সেসব সুপারিশ থাকবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দুই ধরনের সুপারিশ করবে। কিছু হবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু দীর্ঘমেয়াদি। তবে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এখন সংসদ নেই। ফলে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন বা সংস্কার করার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে কতটা ঐকমত্য তৈরি করা যাবে, তা নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ নির্বাচন সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলছেন, বিএনপি, জামায়াত বা শিক্ষার্থীদের বয়ানে যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে, তা এমন কিছু নয় যে অতিক্রম করা যাবে না।

গত আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং জনমালিকানা, জবাবদিহিতা জনকল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কমপক্ষে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। সংবিধান, নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুদকের সংস্কারের জন্য প্রথম ছয়টি কমিশন অক্টোবর গঠিত হয়। তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং বাকি পাঁচটি কমিশনের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

গুরুত্বপূর্ণ যেসব সংস্কার প্রস্তাব আসছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্র জানায়, তাদের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করা হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনারও সুপারিশ করবে এই কমিশন।

সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করারও সুপারিশ করবে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন স্পিকারের অধীনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সংসদীয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করতে পারে। নির্বাচনের সময় কোনো অনিয়মের জন্য নির্বাচন কমিশনারদের জবাবদিহি করতে হবে এই কমিটিতে। সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য জানান, নির্বাচন সংস্কার কমিশন দ্বৈত ভোট ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করছে। সংসদের নিম্নকক্ষের জন্য সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বিজয়ী হবেন এমন ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট (এফপিটিপি) পদ্ধতির প্রস্তাব করা হয়েছে। সংসদের জন্য প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের জন্য কমিশন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সুপারিশ করবে। তবে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি সংস্কার কমিশনের ওই সদস্য।

সংবিধান সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, ক্ষমতার ভারসাম্য শুধু রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সরকারের নির্বাহী বিভাগকে দায়বদ্ধ রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে আরও প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব প্রস্তাব থাকছে তাদের প্রতিবেদনে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে সরকারের ভেতরে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানো হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংবিধানের প্রস্তাবনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক ন্যায়বিচার অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করবে। কমিশন সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতে এবং নির্বাহী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করবে। এটি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলেরও সুপারিশ করবে। এর ফলে এমপিরা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন ব্যালট পেপারেনাভোট বিকল্পের পুনঃপ্রবর্তন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের সুপারিশ করবে। সেই সঙ্গে, নারীদের আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ এবং নিম্নকক্ষে আইনপ্রণেতাদের মোট সংখ্যা ৩৫০-৪০০ করার পক্ষে সংস্কার কমিশন। এটি উচ্চকক্ষের জন্য ১০০টি আসনের সুপারিশ করতে পারে।

কমিশনের সদস্যরা জানান, তারা নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার তাদের প্রধান নিয়োগের জন্য আইন সংশোধন, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অধীনে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইসিকে আরও জবাবদিহিমূলক করার সুপারিশ করা হতে পারে। প্রার্থীদের তাদের হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদ প্রকাশ করতে এবং হলফনামায় দেওয়া তথ্য যাচাই বাধ্যতামূলক করার সুপারিশও বিবেচনা করছে সংস্কার কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদকের চেয়ারম্যান কমিশনার নিয়োগ আইনে সংশোধন আনার প্রস্তাব দেবে দুদক সংস্কার কমিশন। দলীয় প্রভাবমুক্ত, যোগ্য ব্যক্তিদের একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কীভাবে নিয়োগ দেওয়া যায়, তার একটা রূপরেখাও থাকবে তাদের প্রতিবেদনে। দুদকে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নিরপেক্ষ করা এবং মর্যাদা বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ থাকবে। দুদকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি কাঠামোও প্রস্তাব করা হতে পারে। দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘসূত্রতা অনিয়ম দূর করতে ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন।

দ্বিকক্ষ সংসদ যেমন হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের কোনো ধারণ বা পরিচয় নেই এদেশের জনগণের। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের জাতীয় সংসদ এক কক্ষের। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে মোট আসন ৩৫০টি। ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সাধারণ নির্বাচনে পাওয়া আসনের অনুপাতে নারী আসনগুলো বণ্টন করা হয়।

সূত্র জানায়, সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নি¤œকক্ষের ৪০০টি আসনে নির্বাচন হবে বিদ্যমান পদ্ধতিতে। আর উচ্চকক্ষে মোট ১০৫ আসনের পাঁচ আসন থাকবে রাষ্ট্রপতির হাতে। রাষ্ট্রপতি এই পাঁচ আসনে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেবেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হাতে পাঁচটি আসন দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের বাকি ১০০ আসনে নির্বাচন হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে। রাজনৈতিক দলগুলো সারাদেশে যত ভোট পাবে তার অনুপাতে উচ্চকক্ষে আসন পাবে। দলগুলো উচ্চকক্ষে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যাতে বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব রাখে, সেটাও উল্লেখ থাকছে সংস্কার কমিশনের সুপারিশে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও সংসদের নি¤œকক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সাংবিধানিক এক নায়কতন্ত্র ঠেকাতে নানা সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, তাদের সুপারিশনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের গণ-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করা এবং সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকানো। এজন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়েছে, যাতে এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সুযোগ না থাকে।

সূত্র জানায়, লক্ষ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করা; একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া; প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান সংসদ নেতা যাতে না হন এমন বিধান থাকছে সুপারিশে। ছাড়া নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান; প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা- এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার প্রস্তাব পুলিশ সংস্কার কমিশনের সূত্র জানায়, তাদের সুপারিশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেসব সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেবে কমিশন।

কমিশন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারার অধীনে রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে হাইকোর্ট আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করে একটি নির্দেশিকা তৈরির প্রস্তাব দেবে।

এই নির্দেশিকায় থাকবে- সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেপ্তারের পর তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে এবং অভিযানে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে; গ্রেপ্তারের কারণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে; গ্রেপ্তারের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের আত্মীয়দের জানাতে হবে; আটককৃতদের একজন আইনজীবী বা আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকতে হবে; রিমান্ডের সময় একটি স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়ালযুক্ত কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। একজন আইনজীবী বা আত্মীয় এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয় অতীতের মতো আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না। নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দকৃত প্রতীক নিয়েই প্রার্থীদের নির্বাচন করতে হবে। এমন প্রস্তাব আনছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।

ব্যাপারে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক . তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ নিয়েছি। অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। অতীতের মতো দলীয় প্রতীকে আর স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন হবে না।

×