ছবি: সংগৃহীত
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল মাছের মেলায় দুইটি বাঘাইড় মাছের দাম হাঁকা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রতিটি মাছের ওজন ৩২ থেকে ৩৫ কেজি হবে। মঙ্গলবার বিকেলে মেলা পরিদর্শনকালে বিক্রেতা মুদ্দত আলী ও ইমরান মিয়ার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বাসিন্দা ইমরান মিয়া বলেন, তিনি মাছটি নদী থেকে শিকার করে ক্রয় করে মেলায় নিয়ে আসেন। বিশাল এ মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা। ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে। কিছু লাভে মাছটি বিক্রি করে দেবেন। তবে ক্রেতার চেয়ে মাছটি দেখার জন্য বেশি লোক আসছেন।
তার পাশের আরেক বিক্রেতা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মুদ্দত আলী বলেন, মেঘনা নদী থেকে শিকার হওয়া প্রায় ৩০ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাইড় মাছ বিক্রির জন্য তিনিও নিয়ে এসেছেন। মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা।
মাছটি দেখতে আসা লোকদের মন্তব্য, পইল মেলার আকর্ষণ হলো বাঘাইড় মাছ। যাই হোক, মাছটি দেখতে পেরে তারা আনন্দিত। মাঝে মধ্যে ক্রেতারাও দুটি বাঘাইড় মাছ ক্রয় করার জন্য আসছেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে বুধবার সকাল পর্যন্ত।
সাংবাদিক বদরুল আলম বলেন, পৌষ সংক্রান্তিতে এ মেলা দুই শতাধিক বছর ধরে চলে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মিঠা পানির বাঘাইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছেরও। বাঘাইড় ছাড়াও মেলায় বিশালাকৃতির বোয়াল ও কাতল মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছ দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, প্রতি বছর পহেলা মাঘে এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা আসেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, পইল মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। মেলায় পুলিশের মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা চলছে।
মারিয়া