১৯৭৪ সালের বেরুবাড়ি চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কিছু এলাকা ভারতকে প্রদান করে এবং তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারের জন্য চিরস্থায়ীভাবে খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তবে ভারতের পার্লামেন্ট সেই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে রেটিফাই করেনি, যা এখনো সমস্যার কারণ হয়ে আছে।
প্রথমে করিডোর খোলার সময় সীমিত ছিল (এক ঘণ্টা বা ছয় ঘণ্টা), পরে ২০১০ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে এটিকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এরপরও করিডোর ব্যবহারে নানা বাধার মুখোমুখি হতে হয়।
চুক্তি অনুযায়ী ফেন্সিং ১৫০ গজ দূরে থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে জিরো লাইনের উপর ফেন্স তৈরি করা হয়েছে, যা আইনগত ও কূটনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ বাধা দিতে চাইলেও চুক্তি অনুযায়ী এটি সম্ভব নয়, কারণ বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
তিন বিঘা করিডোরের ফেন্সিং বা অন্যান্য অবকাঠামো কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পত্নীতলা ও নওগাঁ অঞ্চলে সীমান্ত সংক্রান্ত কাজগুলোও থমকে আছে। এই বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক আলোচনা এবং উভয় দেশের মধ্যে চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য উভয় দেশের মধ্যকার স্থায়ী সমঝোতা প্রয়োজন।
রাজু