ছবি: সংগৃহীত
সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যত একটি “ম্যাজিশিয়ান সরকার” -এর মতো আচরণ করছে।
তিনি বলেন, “শীতের দিনে গোসলের পানিতে অতিরিক্ত বরফ মেশালে যেমন সেটা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, তেমনি শতাধিক পণ্য ও সেবা খাতে কর বাড়িয়ে জনগণের জীবনযাত্রায় চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ সরকার বলছে, এর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। এটি এক ধরনের জাদু বা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।”
তিনি বলেন, “সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে, যা হোটেল, মোবাইল ফোন সেবা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এর ফলে জনগণের অসুবিধা হবে না। এ ধরনের বক্তব্য বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। এটি বোঝায় যে, হয় তারা জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বুঝতে পারছে না, নয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করছে।”
মাসুদ কামাল অভিযোগ করেন, সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু সাধারণ জনগণের উপর চাপ বাড়াচ্ছে না, বরং এটি গরীব মানুষের প্রতি একধরনের অবিচার। তিনি আরও বলেন, “ধনীদের কাছ থেকে সরাসরি কর আদায়ের পরিবর্তে পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে সরকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিকভাবে কর আদায় করলে, এত সাধারণ মানুষের উপর চাপ দেওয়ার প্রয়োজন হতো না।”
তিনি সরকারকে "স্বৈরাচারী" আচরণের জন্য সমালোচনা করেন এবং বলেন, “সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে তাদের অনুগত রাখতে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, অথচ সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হচ্ছে না। এটা শুধু একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য নয়, বরং একটি নিষ্ঠুর পদক্ষেপ।”
মাসুদ কামাল আরও বলেন, “আইএমএফ-এর চাপ থাকলেও সরকার বিকল্প উপায়ে রাজস্ব বৃদ্ধির কথা চিন্তা করেনি। বরং নির্বাহী আদেশে কর বাড়িয়ে জনগণের কষ্ট বাড়িয়েছে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাজেট পরিবর্তনের এ ধরনের নজির বাংলাদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি।”
তাঁর মতে, দেশের মানুষ এখন শুধুমাত্র একটাই প্রশ্ন করছে— দাম কি কমবে? কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এর কোনো সমাধান আসছে না। বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/S2AG_p7fJ8M?si=NVQYlDggfYYj92g9
এম.কে.