.
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। রক্তভেজা বিজয়ের পাঁচ মাসেও আসেনি ঘোষণাপত্র। দিনক্ষণ ঠিক করেও গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বলা হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকেই আসবে ঘোষণাপত্র। শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে রাজপথে নামেন। একটা অংশ ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ ও জনসংযোগের মাধ্যমে জনসমর্থনের কাজে নেমে পড়েন। আরেকটা অংশ পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেনদরবারে বসেন। এর মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না, ফ্যাসিলিটেট করবে।’ জানা গেছে, রাজনৈতিক বাধা ও নানামুখী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ৩টি কৌশলকে গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণাপত্রের প্রস্তুতি নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি। বড় কর্মসূচি দিয়ে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার এক মাসের মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ওপর ভিত্তি করেই সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত দেশ পরিচালিত হয়েছে। সেই নজিরের ওপর ভিত্তি করে এবারও সেটি করা যেত। সে ক্ষেত্রে এবার কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে। ছাত্রদের উচিত ছিল, আরও আগে ঘোষণাপত্র দেওয়ার। অবশ্য এখনো সেই সময় ফুরিয়ে যায়নি। যতই দিন যাচ্ছে ততই রাজনৈতিক বাধা স্পষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে ছাত্রদের মধ্যে থেকে। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে কোনো মূল্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া এবং বাস্তবায়নের কঠোর সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। তারা বলছেন, ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে প্রচার, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক এবং বিশেজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তিনটা উপায় পেয়েছেন তারা। প্রথমত, ঘোষণাপত্রের অধিকার রাখে শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিরা। মূলত তারাই চব্বিশের বিজয় মসনদের মালিক। তারা যখন ইচ্ছে পোষণ করবেন তখনই ঘোষণাপত্র পাঠের অধিকার রাখেন। দ্বিতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যারা সকল দলমতের মানুষকে এক ব্যানারে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ। বিপ্লবীরা ইচ্ছে করলে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও গুরুত্ব দিতে পারেন।
জানা গেছে, ঘোষণাপত্রে সংবিধান ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন হবে, নাকি পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে রাজনীতিতে জটিলতা। সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন নয়; বরং সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের প্রস্তাব, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে। তাদের প্রস্তাব, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে। বিএনপি ও বামপন্থিদের বড় একটি অংশ সংবিধান বাতিল বা সংস্কারের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে ইসলামপন্থিদের বড় একটি অংশ সংবিধান বাতিল বা পুনর্লিখন নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ নিয়ে রাজনীতিতে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।
৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে শহীদ পরিবার এবং আহত যোদ্ধারা ঘোষণা দিয়েছেন, নতুন সংবিধান তৈরি করতে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, গুলিতে পঙ্গু হয়নি ২৫ হাজার মানুষ। মানুষ স্বৈরাচারের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছেন। ’৭২-এর সংবিধানে অধিকারের কথা নেই। তারা সেই সংবিধান চান না। ’৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। পিলখানা হত্যাকা-, শাপলায় হেফাজত হত্যাকা-, সবশেষ চব্বিশের জুলাইয়ে গণহহত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে দেশে কোনো ভোট হবে না। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে সরকারকে ডেটলাইন জানিয়ে দেন তারা।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন এবং ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা যে ঘোষণাপত্রের কথা শুনছি সেটা আরও আগে আশা উচিত ছিল। আমরা এখনো জানি না, ঘোষণাপত্রে কী থাকছে, কী আসছে। জানতে পারলে হয়তো তখন এ নিয়ে কিছু বলা যেত। এখন এটি সরকারের পক্ষ থেকে আসুক কিংবা ছাত্রদের পক্ষ থেকে আসুক, দেশের এমন একটা অভূতপূর্ব বিজয় পরবর্তী ঘোষণাপত্র আসা উচিত। ঘোষণাপত্র বিষয়ে জনগণকে জানানো উচিত, অবহিত করা উচিত বলে আমি মনে করছি। এখন যে পক্ষ থেকেই আসুক সবাইকে নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই এই ঘোষণাপত্র দেওয়া দরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশে আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে একটা আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, এই সময়ের মধ্যেই সরকার এটা ঘোষণা করবে। এই ঘোষণাপত্র যাতে না হয় সেজন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এ নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন জনকণ্ঠকে বলেন, ছাত্রদের একটা অংশ ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছে কিন্তু পরে দেখলাম সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারাই ঘোষণাপত্র দেবে। আসলে একটা অংশ কী ঘোষণাপত্র দেবে বা সরকার কি দেবেÑ আমরা এখনো জানি না। এখনো পর্যন্ত সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি বা আলোচনার জন্য ডাকেনি। অন্যদিকে ছাত্ররাও কি দেবেÑ সেটাও জানি না। আমরা দেখছি, আগে যে ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ ছিল এখন তা নেই। অনেকে আলাদা হয়ে গেছে। ছাত্রদল আলাদা, ছাত্রশিবির আলাদা, বাম রাজনৈতিক দলগুলো আলাদা। কোনো খসড়া পাওয়ার আগে বা সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগে মন্তব্য করা কঠিন। কারা কি দিচ্ছে বা দেবে সেটা বলাও দুষ্কর।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জনকণ্ঠকে বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণার সকল প্রস্তুতি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঘোষণাপত্র তারাই দেবে- তাই সেটি আর হয়নি। আমরা এখনো মনে করছি, এই ঘোষণাপত্র যাদের পক্ষ থেকে আসা উচিত সেখানে তিনটা সেক্টরের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এক, যাদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাদের নেতৃত্বেই দল-মত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে রাজপথে নেমেছে। দ্বিতীয়ত, এই আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ এবং ২৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ঘোষণাপত্রে তাদের চাহিদা সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোরও একই প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান জনকণ্ঠকে বলেন, ৫ তারিখ গণঅভ্যুত্থানের পরপরই আমাদের ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। সেটি দিতে আমাদের দেরি হয়ে গেছে। আমরা মনে করেছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণাপত্র আসবে কিন্তু সেটিও সরকার দেয়নি। আবার আমরা যখন ৩১ তারিখ ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঘোষণাপত্র দেবেন। এখন তারা যদি ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো বাধা তৈরি করে তাহলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণাপত্র দেবে। দুই হাজার শহীদ ২৫ হাজার আহত ব্যক্তিদের স্বপ্ন পূরণ করবে। যত ধরনের বাধাই আসুক সকল বাধা উপেক্ষা করে ’২৪-এর চেতনা বাস্তবায়নে ঘোষণাপত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধীদের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিনথিয়া জাহিন আয়েশা জনকণ্ঠকে বলেন গত ৩১ তারিখ আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছিলাম। আমাদের সকল শহীদ পরিবার, গুলিতে আহত ব্যক্তিরা আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারাই ঘোষণাপত্র দেবেন। আমরা ঐদিন রাত বারোটা পর্যন্ত সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম, তখন সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের বারবার অনুরোধ করেছেন, যাতে আমরা ঘোষণাপত্র না দিই। তাদের অনুরোধে আমরা ঘোষণাপত্র স্থগিত করে ঐক্যের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা ঘোষণাপত্র দেবেন না। এটিকে আমরা কি বলতে পারি? দুই হাজার শহীদ পরিবার ২৫ হাজার আহত ব্যক্তিদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে শীঘ্রই ঘোষণাপত্র দেবে। আমাদের সপ্তাহব্যাপী লিফলেট বিতরণসহ জনসংযোগ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। আমরা শীঘ্রই এ নিয়ে বৈঠক করব। ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। কারা ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন শীঘ্রই আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকল রাজনৈতিক দল এবং সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। এখন শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেওয়ার একমাত্র অধিকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপ্লবীরাই রাখেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছি। ঘোষণাপত্রের বিষয় নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছি। মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছি। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে জনসমর্থন পেয়েছি। আমরা আশা করছি ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র আসবে। না আসলে ছাত্র-জনতা আবারও আন্দোলনে নামবেন। আমাদের করণীয় বিষয় কী, সামগ্রিক সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে শীঘ্রই এ নিয়ে দিক নির্দেশনা আসবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দ্বিতীয় বিজয়ের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাত হারানো আরজে আতিকুল গাজী বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করিনি। নির্বাচনের জন্য রাজপথে রক্ত দেইনি। কেউ যদি সংস্কার ছাড়াই ক্ষমতা চায় তাহলে দুই হাজার শহীদ ভাইয়ের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। ২৫ হাজার আহত ভাইয়ের আগের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে আমার হাত। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন হবে। একই সঙ্গে বলতে চাই আরও আগেই আমাদের ঘোষণাপত্র দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমাদের যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, যারা রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকেই খুব শীঘ্রই ঘোষণাপত্র আসবে।