ছবি : সংগৃহীত
ভারতের বেড়া বাংলাদেশে এক ইঞ্চি ঢুকলেও ভেঙ্গে ফেলবো বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন ‘বিবেকানন্দ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ’ এর সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ মজুমদার।
তিনি বলেন, এটা ভারতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ১৫০ গজের যদি ১৪৯ গজেও হয়, আমরা সেটাকে ভেঙে ফেলে দিয়ে সেই ১৫০ গজের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেবো। এক রাত্রে ঘুম দিয়ে উঠে দেখবে বাংলাদেশ নাই। বিষয়টা খুবই হাস্যকর। যদি এরকম কোন কিছু হয় ইউক্রেনের কাছে যেমন রাশিয়া বোকা হয়ে গেছে, বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরে বোকা হবে।
আন্তর্জাতিক সীমারেখার যে বিষয়টা থাকে, জিরো পয়েন্ট এবং নো ম্যান ল্যান্ড। জিরো পয়েন্ট থেকে নো ম্যান ল্যান্ডের দূরত্ব থাকে এক এক জায়গায় এক রকম। বাংলাদেশে আছে ১৫০ গজ। তাদের কাটাতারে বেড়া, ১৫০ গজের এক ইঞ্চি আমাদের সীমানায় চলে আসে, ১৫০ গজ এক সাইডেই রেখে, বাংলাদেশ সে কাটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলে দেবে।
এটা ভারতকে স্পষ্টভাবে জানায় দিতে চাই, ১৫০ গজের যদি ১৪৯ গজেও হয় আমরা সেটাকে ভেঙে ফেলে দিয়ে, সেই ১৫০ গজের ওই সাইডে ছুড়ে ফেলে দেবো। এটা ভারতকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম।
তিনি আরো বলেন, ইন্ডিয়া, চায়নায় বর্ডারে দুই দেশের অস্ত্রবহন নিষিদ্ধ। আমি চাই, বাংলাদেশ আর ভারত বর্ডারেও দুই ধরনের দুই সীমান্ত রক্ষীদের অস্ত্রবহন নিষিদ্ধ হোক। দুই নম্বর কথা হচ্ছে, ২০২১ সালে যখন ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ হয়, তখন তো সারা বিশ্ব হাসাহাসি করছিল, যে একজন নাট্যকার নেতা দেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। আজ কিন্তু ২০২৫ সাল, রাশিয়া কিন্তু তাদের বিজয় অর্জন করতে পারে নাই। ঠিক যেমন রাশিয়া বড় দেশ, ইউক্রেন ছোট দেশ।
এখন ভারত যদি মনে করে, এক রাত্রে একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে যেটা এরা বলে, ওই স্বাধীন দীপঞ্জন চৌধুরী বলছেন, তারপরে আরেকজন সজল ঘোষ বলেছেন, যিনি বিজেপির মুখপাত্র, যে এক রাত্রে ঘুম দিয়ে উঠে দেখবে বাংলাদেশ নাই। বিষয়টা খুবই হাস্যকর। যদি এরকম কোনো কিছু হয়, ইউক্রেনের কাছে যেমন রাশিয়া বোকা হয়ে গেছে, বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরে বোকা হবে। ২০০১ এবং ২০০৫ তার বড় প্রমাণ।
বর্ডারে আগ্রাসী মনোভাব করার তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা এদেশের উপর এই আগ্রাসী মনোভাব ইচ্ছাকৃত করছে। যেটা আমার বিশ্লেষণ থেকে মনে হয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মানে বাংলাদেশকে এখন একটু অস্থিতিশীল করার, বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করার, বাংলাদেশকে দুর্বল পরিচয় দেওয়ার, উনারা একটা উস্কানি দিচ্ছে যাতে ফাঁদে বাংলাদেশ পা দেয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্য কোন তৃতীয় পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য, উনারা একটা অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজটা করছে। যদি এর শেষ পরিণতিতে আসে, ওরা পরাজিত হবে।
নরেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রথমেই বলেছেন, "আমি গর্বিত যে আমার বাংলাদেশে জন্ম হয়েছে। এই দেশে জন্ম আমার শত জনমের কর্মের ফলে হয়েছে।" তিনি সীমান্ত নিয়ে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক স্বর্ণালির যুক্তি খণ্ডন করেছেন।
নরেন্দ্রনাথ মজুমদার বাগেরহাটের ছেলে। বাগেরহাটেই তাঁর পড়াশোনা। কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকেন। তিনি "বিবেকানন্দ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ"-এর সাধারণ সম্পাদক। কাজ করেছেন ব্র্যাক ও ইয়ন এগ্রোর মতো প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তিনি সর্বদা সরব। সম্প্রতি অংশ নিয়েছিলেন রিপাবলিক বাংলা টিভির বিশেষ অনুষ্ঠান 'সোজাসুজি স্বর্ণালী'-তে।
তথ্যসূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=HOPsT4VdrpM
মো. মহিউদ্দিন