ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ বর্তমানে জনমানস থেকে ক্রমশ দূরে সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের এক কর্মী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অভাবকে টেনে দাবি করেছেন, যদি মানুষের ভালোবাসা না থাকে, তবে গ্রেনেড দিয়েও যুদ্ধ করে জেতা সম্ভব নয়। দলের সম্মেলন পর্যন্ত পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে, যা দলের প্রতি জনসমর্থনের অভাবকেই প্রকাশ করে দলের ভেতর নানা অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়মের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বলা হয়েছিল, তোমরা পিস্তল দিয়ে খেলা করো। কী পিস্তল? পানির পিস্তল। আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছি।”
দলের ভেতরের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন
তিনি আরও বলেন, “এমন ঘটনাও ঘটেছে যে নমিনেশনের ফাইল থেকে কাগজ গায়েব হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে বলবো, যারা অর্থপাচার করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।”
নেতাকর্মীদের দুর্দশা ও উদাসীনতা
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, অত্যাচার সহ্য করেছেন। কিন্তু কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।”
দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ
দলের কিছু শীর্ষ নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সালমান এফ রহমান ও ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতারা দলের সুনাম নষ্ট করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে অপমান করা হয়েছে, যা অবর্ণনীয় এবং হৃদয়বিদারক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দলের ভেতর নানা অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়মের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।।”
এই মন্তব্যগুলো আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংকট এবং জনমানসে দলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
মারিয়া