ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে ছিলেন বলে জানান ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
জেনারেল দ্বিবেদী জানান, 'বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হয়েছে।'
সেনাপ্রধান সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীর প্রশ্নের এক পর্যায়ে, ইন্ডিয়া টুডে'র এক সাংবাদিক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে তার মতামত জানতে চান। উত্তরে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির সীমান্তের একটি ছোট অংশ ছাড়া প্রায় পুরো সীমান্তই ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে। আমাদের সর্বদা একে অপরকে বোঝে। তাই আমাদের০ মিলেমিশে থাকতে হবে এবং এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।'
ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার এই প্রক্রিয়াটা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই সম্পন্ন হয়েছিল। জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আরো বলেন, “উনি যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি।
উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যদি আপনারা (দুই দেশের) সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা ওখানে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।
ইসরাত