বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসমিন মিতুর সঙ্গে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
মনি আক্তার নামে একটা ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে মিতু বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মিতু বলেন, আসলে ওই দিন তো ২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল। ১৬ ডিসেম্বরের আনন্দ উদযাপনটা কীভাবে করছি এবং সেই আনন্দ উদযাপনটা অন্যান্য বছর থেকে একটু ভিন্ন কিনা, সেই রকম একটা ইন্টারভিউ আমি একটি পত্রিকাতে দিয়েছিলাম। কিন্তু পত্রিকাটি সেদিন নিউজ করে এবং একটা শর্ট ভিডিও করেছে; একটা ছোটখাটো নিউজ করেছে- তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিটের, সেখানেও আমার এই বাইট ছিল। তো সেই জায়গায় আমি বলতে চাই— আসলে পত্রিকার এই নিউজটিকে মনি আক্তার নামে একটা পেজ থেকে আগের কোনো একটা ভিডিওর অডিও ক্লিপটি নিয়ে আমার ভিডিওর সঙ্গে যুক্ত করে সেখানে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, আমি সারজিস ভাইয়া হচ্ছে যে আমাকে অশ্লীলতাহানি করেছে- এমন কিছু। তো যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং আমার সঙ্গে এক সপ্তাহের মতো হবে রিউমার স্ক্যানের বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি যোগাযোগ করে সেটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে; বা মিথ্যা যে অডিও রেকর্ড ওরকম করে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেটিকে আবার নিউজ করে। তো আমার এখানে কষ্টের জায়গাটা এটাই যে মনি আক্তার সে একটা আলতো-ফালতু পেজ থেকে এ রকম একটা অডিও করে অডিও ক্লিপ করে দিতেই পারে, সেটি নিয়ে আমার কোনো কনসার্ন ছিল না।
কারণ এখন আমি যেহেতু সামনে এসে কাজ করছি, আমার বিরুদ্ধে আমার পক্ষে অনেক কিছু আসবে যাবে। এত কিছু ধরে আসলে রাজনীতির মাঠে থাকা যাবে না বা সবার জন্য কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন, এত এত ভালো সংবাদমাধ্যমগুলো শুধু ভিউয়ার্সের জন্য এবং মানে নিউজটাকে স্প্রেড করার জন্য খুব বাজে একটা পজিটিভ নিউজকে নেগেটিভলি উপস্থাপন করেছে শুধু হেডলাইন দিয়ে। সেটা আসলে আমার একদমই পছন্দ হয়নি। আমার মনে হয়েছে-আপনাদের আরও কনসার্ন থাকা উচিত। এসব সাংবাদিকতা থেকে বের হয়ে আসা উচিত নেগেটিভকে নেগেটিভ পজিটিভকে পজিটিভভাবে উপস্থাপন করা উচিত।
আসলে তাদের বলতে চাই— আপনারা তো আমার সঙ্গে নেই বা আমি আসলে সারাদিন কীভাবে চলছি-ফিরছি সেটি তো আপনারা দেখেন না। সো আপনাদের দাওয়াত দেব— আপনারা আসেন আমার সঙ্গে দেখা করেন; কথা বলেন আমার সঙ্গে একটা দিন দুইটা দিন কাটান তাহলে আসলে বুঝতে পারবেন যে আমি মানুষটা কেমন এবং আমার চলা চলাফেরা কেমন।
ভিডিও দেখতে: https://www.facebook.com/reel/1113600413489273
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, যেদিন ১৬ ডিসেম্বর, সেদিন আসলে আমি লাল-সবুজ শাড়ি পরেছিলাম, সেটি আসলে সবাই দেখেছে। তো যখন আমি শাড়ি পরে বের হই, তখন আসলে আমাদের হলে দুটো বড় আয়না লাগানো আছে, সেখানে আমার মনে হলো যে একটা মিরর সেলফি নিয়ে নেই। আমি যখন রিকশা দিয়ে আসছিলাম, এট দ্যাট টাইমে আমি স্টোরিটা পোস্ট করি যে সুন্দর দিনের শুরু— দিনটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর। তো সারাদিন আমার ওইদিন কাজ ছিল— বিজয় মিছিলে যাওয়া, বিজয় র্যালি শেষ করে আমি হচ্ছে টিএসসিতে আসি ফ্রেন্ডদের সঙ্গে একটু মানে গল্পটল্প করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি বিটিভিতে টকশোতে যাই। টকশো থেকে আবার হচ্ছে যে আমি টিএসসি আসি। টিএসসি আসার পর ভাইয়াকে (সারজিস) কল দিই যে ভাই আপনি কোথায় আজকে; তো ১৬ ডিসেম্বর আর হচ্ছে যে কিছু বিষয় নিয়ে আমি কথা বলে চাচ্ছিলাম। ভাইয়া বলেন, ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই তুমি কার্জন হলের এদিকে চলে এসো— এখানে অনেকেই আছে। তো সেখানে গিয়ে দেখি মাহিন সরকার আছে, যাত্রাবাড়ীর পিয়াস আছে, আর এনএসইউর একজন ছেলে ছিল। তো অনেকেই মোটামুটি ওইখানে ছিল। আমার মনে হলো— ভাইয়া, যেহেতু আপনিও আজকে পাঞ্জাবি পরেছেন আমি শাড়ি পরেছি, তাহলে আমি একটা আসলে আপনার সঙ্গে ছবি তুলতে চাই— কখনো তো আপনার মানে- আশপাশেই থাকি, কাজ করি, আপনার সঙ্গে আপনার ছোট বোন আমি, একটা ছবি তুলতে চাই। সেই জায়গায় আসলে ছবিটা তুলেছিলাম এবং সেই ছবিটা তুলে ভাইয়ার সামনেই পোস্ট করেছিলাম যে একটা সুন্দর দিনের শেষ। মানে হচ্ছে— সিকুয়েন্সটা মিলিয়েছিলাম যে, শুরু আর শেষ; দ্যাট ডাজেন্ট মিন ভাইয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। ভাইয়ার সঙ্গে কোথাও গিয়েছি কিছু করেছি কোনো কিছুই না। সিম্পল একটা ছবি এবং ভাই আমার ভাই, আমি ভাইয়ার ছোট বোন এবং জুনিয়র।
ফুয়াদ