ছবি সংগৃহীত
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং আরেক শীর্ষ সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের তীর চট্টগ্রামের আরেক শীর্ষ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা রিজাউর রহমানের বিরুদ্ধে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাসেল আহমেদসহ কয়েকজন সমন্বয়ক চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। একপর্যায়ে সেখানেই রাফি-রিজাউর দলবলসহ উপস্থিত হন। এরপর উভয়পক্ষ জড়ায় হাতাহাতি-বিতণ্ডায়।
সংবাদ সম্মেলনে একপর্যায়ে সেখানে হাজির হন সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, রিজাউর রহমান এবং ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থী। এরপর রাফি গিয়ে রাসেলের পাশে বসেন এবং রিজাউর চেয়ারে বসার চেষ্টা করেন।
ওই সময় রাসেলের সাথে থাকা উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘হামলাকারীদের সাথে বসব না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এরই মধ্যে সেখানে রাফির পক্ষে থাকা আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। এ সময় উভয়পক্ষ একে অপরকে কটাক্ষ করে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখানে উভয়পক্ষের কয়েকজন হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ মাইক্রোফোন বন্ধ করে দিলে উভয়পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সেখানেও তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে, আজ বিকেলে "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র" পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তাঁরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে আলোচনা করতে বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরবর্তীতে এক ঘণ্টা ধরে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, যার ফলে সাতজন আহত হয়েছেন।
এবিষয়ে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। হান্নান ভাই গতকাল রাতে আমাকে কল দিয়ে বলেন, তিনি আজ চট্টগ্রামে আসবেন। সেজন্য এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি করা হয়েছে। তিনটায় যেহেতু কর্মসূচি, সেহেতু আমার ক্যাম্পাস থেকে আসতে দেরি হয়েছে। আমার ওখানে যেতে চারটা বেজেছে। যে হামলার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমি জড়িত ছিলাম না। যে বা যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
আশিক