ছবি: সংগৃহীত
দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সরকারের নীতিমালা এবং কর নীতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, “আজকাল সন্ধ্যার পরে ফ্যামিলি নিয়ে কেউ বের হচ্ছে না, আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। রেস্তোরাঁ চালাতে খরচের তুলনায় লাভ খুবই কম। আমরা যে ভ্যাট দিয়ে থাকি, তা আরোপিত কমপ্লায়েন্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল, কর্মচারীর বেতনসহ সবকিছু মিলে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।”
তারা আরও জানান, বাজারে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা নেই। একদিকে বড় রেস্তোরাঁগুলো ১৫% ভ্যাট নিতে পারে, কিন্তু অন্যদিকে কিছু ছোট দোকান কোনো ধরনের ভ্যাট ছাড়াই সেবা দিচ্ছে, যার কারণে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একজন রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, “আমি ১৫০ টাকায় তান্দুরি চিকেন বিক্রি করি, কিন্তু পাশের দোকানে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাদের কাছে তো লোক যাবে।”
এছাড়া, এনজিও, সরকার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইএমএফ) একসঙ্গে এ ধরনের পলিসি তৈরি করছে যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্বল করে ফেলছে।
তারা বলেন, “এনজিও ব্যবসা ফুলে ফেপে বাড়বে, কিন্তু আমরা দারিদ্র্যের নিচে থেকে যাবো।” এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন যে, তাদের আয়ের থেকে অনেক বেশি খরচের বোঝা চাপানো হয়েছে এবং সরকার কোনো সহজ কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেনি।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে গিয়ে তারা জানান, "মাঠ পর্যায় থেকে চাঁদাবাজি চলছে এবং এনবিআর সিস্টেমকে এতটাই জটিল করেছে যে, সরকার বা ব্যবসায়ী কিছুই পাচ্ছে না। প্রতিদিনই চিঠি দিচ্ছি, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।"
তারা সরকারের কাছে একটি সহজ কর ব্যবস্থা এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, "এফবিসিআই আজকাল শুধু বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করছে, ছোট ব্যবসায়ীদের কোনো সহায়তা নেই"।
রেস্তোরাঁ মালিকরা আরও জানান যে, সরকার যদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসে, তবে ব্যবসা চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/doVcPMtWulk?si=mB6h6Gb7FlgLfj7G
এম.কে.