বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় “বাংলাদেশ ইসলামিক ল' রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার”-এর উদ্যোগে “আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমেরিকান মুসলিমদের চর্চা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক একাডেমিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রবীণ ব্যাংকার নুরুল ইসলাম খলিফার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও আইবিসিএফ-এর চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মান্নান।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা, পেমব্রোকের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ নোমান। তিনি আমেরিকান মুসলিমদের আর্থিক লেনদেনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমেরিকার মুসলিমরা শরীয়াহ অনুমোদিত আর্থিক পণ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহী। তাদের মধ্যে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত লেনদেনে ইসলামের চর্চা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক ফাইন্যান্সের ব্যাপক চর্চা সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বের জন্য উদাহরণ।
প্রধান অতিথি আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মার্কিন মুসলমানরা এখন ইসলামী জীবনযাপনের প্রতি মনোযোগী হচ্ছে এবং শরীয়াহ ভিত্তিক শিক্ষায়ও অগ্রগতি অর্জন করছে। তিনি বাংলাদেশ ও আমেরিকার মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে উভয় দেশের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি নুরুল ইসলাম খলিফা বলেন, ইসলাম জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সত্যিকার মুসলিম হতে হলে জ্ঞানের চর্চা এবং তার বাস্তব প্রয়োগে মনোনিবেশ করা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ল' রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার ইসলামী আইনের কল্যাণ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি এই কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. বেলায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শরীয়াহ গবেষক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম এবং সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং বিশিষ্ট ব্যাংকাররা।
সভাটি জ্ঞানের আলোচনায় পরিপূর্ণ ছিল, যেখানে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মুসলমানদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইসলামের ভূমিকা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
এম.কে.