ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

রিপাবলিক বাংলার টকশোতে দাঁত ভাঙা জবাব বাংলাদেশের নরেন্দ্রনাথের

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৮, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

রিপাবলিক বাংলার টকশোতে দাঁত ভাঙা জবাব বাংলাদেশের নরেন্দ্রনাথের

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে। এরপরই ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপবাদ,গুজব চালাতে থাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এদিকে দুই দেশের সীমান্তে নতুন করে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত থাকা কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার মিথ্যা আস্ফালনকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক নরেন্দ্রনাথ মজুমদার। তার দাঁতভাঙা জবাবে পেরে উঠতে না পেরে তাকে অবশেষে মূর্খের মত আক্রমণ করে বসে ভারতীয় আলোচকরা। তারা বলেন, আপনি কি সত্যিই হিন্দু!

নরেন্দ্রনাথ বিবেকান্দ গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে রিপাবলিক বাংলার বিশেষ অনুষ্ঠানে 'সোজাসুজি স্বর্নালি'তে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভারতীয় প্রোপাগান্ডার সমুচিত জবাব দেওয়ায় ভাইরাল তিনি।

নরেন্দ্রনাথ মজুমদারকে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক স্বর্নালি প্রশ্ন করেন, ভারত তার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশ এই বেড়া দেওয়া বন্ধ করে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। ভারত কি যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে। জবাবে নরেন্দ্রনাথ বলেন, সে গর্বিত যে তার বাংলাদেশে জন্ম হয়েছে, সে বাংলাদেশকে ভালোবাসে। এই দেশে জন্ম তার শত জনমের কর্মের ফলে হয়েছে। বাংলাদেশের মত একটি শক্তিশালী দেশে জন্মগ্রহণ করা ভাগ্যের ব্যাপার। ভারতের মত দুর্বল দেশে জন্মগ্রহণ করা অন্য ব্যাপার। তিনি ভারতের আলোচকদের আন্তর্জাতিক আইন শিখিয়ে বলেন, এখানে সীমান্তে 'নো ম্যানস ল্যান্ডস' এবং জিরো পয়েন্টের মধ্যে একটা ব্যবধান থাকে। জিরো পয়েন্টে আপনি বেড়া দিতে পারবেন না। জিরো পয়েন্টে বিএসএফ যখন বেড়া দেওয়া শুরু করে তখন বিজিবির বাধায় বেড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আপনারা এখন বেড়া দিতে শুরু করেছেন সেটা জিরো পয়েন্ট থেকে ভিতরে আপনাদের সীমানার মধ্যে। ধীরগতিতে বেড়া দেয়া শুরু করেছে। আপনাদের সীমানায় আপনারা বেড়া দেবেন নাকি পুকুর কাটবেন এটা আপনাদের বিষয়। এতে বাংলাদেশের কিছু আসে-যায় না।

তিনি আরো বলেন, আপনাদের সীমানায় আপনারা বেড়া দিবেন না পুকুর কাটবেন তা আপনাদের বিষয়, এতে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না। 
লজ্জা করে না আপনাদের, বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন, ২০০১ সালে শিক্ষা হয় নাই আপনাদের, নরেন্দ্রনাথ মজুমদারের এমন দাঁতভাঙা বক্তব্যে উত্তেজনা তৈরি হলে একজন আলোচক বলে বসেন, আপনি কি সত্যিই একজন হিন্দু? আপনি হিন্দু কিনা আমার সন্দেহ আছে।

ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, সাবাস নরেন্দ্রনাথ মজুমদার। এভাবেই কথা বলতে হবে, সবকিছুর উপরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব।সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে একচুল ছাড় নয়! আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। ভারতের গণমাধ্যমগুলো এমন কেন? যখন ডিফেন্স করতে পারছেন না তখন আপনি হিন্দু, আপনি হিন্দু বলে ধর্ম নিয়ে টানাটানি কেন?

নাহিদা

×