ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বছরে সরকারের পক্ষ থেকে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। এই সিদ্ধান্ত এমন একটি সময়ে নেওয়া হলো, যখন মূল্যস্ফীতি নিয়ে দেশের জনগণ ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ শতাংশ, আর এখন শুল্ক ও কর বাড়ানোর ফলে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ানো এবং শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আগের চেয়েও কঠিন হবে।
বিশেষত, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কর ও শুল্কের বৃদ্ধি অতিরিক্ত চাপ হয়ে দাঁড়াবে।
এছাড়া, ভ্যাট বৃদ্ধির তালিকায় অন্যতম পদক্ষেপ হলো মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার। উদাহরণস্বরূপ, ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৩০ টাকা কর দিতে হবে, আর ১০০ টাকা ইন্টারনেট ব্যবহারে দিতে হবে ৫৬ টাকা কর। যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
রেস্টুরেন্ট খাওয়ার খরচও বাড়বে। আগে যেখানে ভ্যাট ছিল ৫ শতাংশ, সেখানে তা এখন বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে। একজন ভোক্তা এই বিষয়ে বলেন, "ঢাকা শহরে ঘোরার জন্য তেমন কোনো জায়গা নেই, মানুষ সময় কাটানোর জন্য রেস্টুরেন্টে যায়। এখন সেখানে যদি খরচ বাড়ানো হয়, তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কোথায় যাবে? ঘরে বসে থাকার বাইরে আর কোনো উপায় নেই।"
এছাড়া, মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে ওষুধ, আমদানি করা ফল, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, পানীয়, চশমা, ফলের জুস, টিস্যু, সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর। এসব পণ্যের ওপর ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তগুলো সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে তুলবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
নুসরাত