ছবিঃ সংগৃহীত
দিনাজপুরে নিজেকে পুলিশের ওসি পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী মো. আপেলকে স্থানীয় জনতা ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চৈতু বর্মণ নামে একজন বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাহারে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চৈতু বর্মণের ছেলে ইমন চন্দ্র বর্মণ গ্রামের মিতু রানী রায়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে টাঙ্গাইলে থাকেন। এ ঘটনার জের ধরে গত ৭ জানুয়ারি রাত পৌনে ১২টায় আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা মাইক্রোবাস নিয়ে চৈতুর বাড়িতে যান। সেখানে রাজ্জাক নিজেকে কোতোয়ালি থানার ওসি পরিচয় দিয়ে চৈতুকে থানায় যেতে বলেন।
চৈতু তার পরিবারের লোকজনকে ডাকতে চাইলে রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এরপর টাঙ্গাইল গিয়ে তার ছেলে ইমনের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাদের দুজনকে দিনাজপুরে ফিরিয়ে এনে মাধবপুর গ্রামের এক বাড়িতে আটক রেখে মারধর করেন এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চৈতু পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে টাকা দিতে রাজি হন এবং একদিন সময় চান। রাজ্জাক তাকে হুমকি দেন, কাউকে জানালে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।
৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় রাজ্জাক এবং তার সহযোগী আপেল চৈতু ও তার ছেলেকে পুনরায় ভাটিনা ঠাকুরবাড়ি গ্রামের একটি জায়গায় ডেকে নেন। সেখানে টাকা না দিলে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন।
এ সময় স্থানীয় জনতা এগিয়ে এলে রাজ্জাক ও আপেল পালানোর চেষ্টা করেন। তবে জনতা তাদের ধরে উত্তমমধ্যম দিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায়।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মারিয়া