ছবি: সংগৃহীত।
চট্টগ্রাম আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার্যালয় থেকে উধাও হওয়া নয় বস্তা নথিপত্র চুরি হয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তাদের তথ্যমতে, এসব নথি পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করার পর পুলিশ সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে, যার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "চট্টগ্রাম আদালত থেকে ১ হাজার ৯১১টি নথি চুরির ঘটনার পর থেকেই সেগুলো উদ্ধার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একটি ভাঙারি দোকান থেকে নথিগুলো উদ্ধার করেছে।"
পুলিশ আরও জানায়, আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনায়, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া গত রোববার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডিতে বলা হয়, ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট স্থান স্বল্পতার কারণে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময়ে, ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব নথি হারিয়ে যায় এবং তা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত, যার পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা রয়েছে। দিনভর আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে, কিন্তু সন্ধ্যার পর এটি ফাঁকা হয়ে যায়। এসময় আদালত ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আইনজীবীরা বিস্মিত। তারা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
নুসরাত
