
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৬৭ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭১ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দু ও বৌদ্ধ) সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথম গেজেটের পর ৯৯ জন বাদ পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৪৫ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এবং ৫৪ জনকে সরকারিভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় গেজেটে বাদ পড়া ১৬৮ জনের মধ্যে অনেকেই প্রথম গেজেটের পরে পুরনো চাকরি ছেড়েছিলেন।
এসব বাদ পড়া ব্যক্তিরা নিজেদের বাদ পড়ার কারণ জানাতে পারছেন না এবং তাদের মধ্যে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, যাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধ বা আইন ভঙ্গের অভিযোগ নেই, তারা কেন বাদ পড়েছেন তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এ ঘটনার ফলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং এটি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং আইনের শাসনের প্রশ্ন তুলছে।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলছেন, সব কিছু যাচাই বাছাই করেই প্রথম দফায় নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধর্ম, এলাকা, লিঙ্গ, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতের কারণে কাউকে বাদ দেয়া 'ভয়াবহ অন্যায়'।এত ধাপ ও বাছাই প্রক্রিয়া পার হয়ে এত বড় সংখ্যা বাদ পড়ার ঘটনা দুঃখজনক। এটা কেন হবে? এটা রাষ্ট্রযন্ত্রেরই একটা দুর্নীতি। যদি কোনো বিশেষ কারণে কাউকে বাদ দিতে হয়- সেটি সুস্পষ্ট করে বলা উচিত। নিয়োগে স্বচ্ছতা জরুরি।"