ছবি: সংগৃহীত
কোথায় সেই স্বৈরাচারিরা, কোথায় সেই দুর্বারিত অহংকারী স্বৈরাচার? যারা আমার জমিনের ওপরে, আমার মানুষের ওপরে রাজত্ব চালিয়েছে- তারা আজকে কোথায়? কোথায় সেই অহংকারীরা? আল্লাহপাক সেদিন তো বলবেনই, কিন্তু দুনিয়ার মাঝেও স্বৈরাচার যারা, অহংকারী যারা তাদের শাস্তি পৃথিবীর বুকেও দেন, আর কেয়ামতের দিন তো দিবেনই। ঠিক এভাবেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ওয়াজ করেছিলেন প্রয়াত জামায়াত নেতা জনপ্রিয় বক্তা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে তার সেই ওয়াজের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। প্রায় ২ মিনিটের সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়- ‘কতো স্বৈরাচার আমরা দেখলাম, কতো অহংকারী দেখলাম, যাদের আঙুলের ইশারায় লক্ষ, কোটি মানুষ উঠতো আর বসতো। তাদের জিল্লাতির সঙ্গে আল্লাহ রব্বুল আলামিন, কতোজনকে বিদায় করে দিলেন।’
ওয়াজে তিনি বলেন, ফুলের মালা নিয়ে কুলাতে পারে নাই। পা থেকে গলা পর্যন্ত ফুলের মালা দিয়ে ডুবায়ে দিল ভক্তরা। আবার আল্লাহ রব্বুল আলামিন এমন শাস্তি দিলেন, ফুলের মালার পরিবর্তে জুতার মালা নিয়ে জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। অহংকারী আর স্বৈরাচার যারা হন আল্লাহ পাক এভাবেই তাদের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দেন। আমরা কতো দেখলাম ৯ বছরের রাজা ১০ বছরের সাজা।
পৃথিবীর বুকে যারা অহংকার করে, যারা স্বৈরাচার হয় আল্লাহর আইনকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে। আল্লাহ পাক তাদের জমিনেও দেখান। এখানে চূড়ান্ত ফয়সালা আল্লাহ করেন না, আসল জায়গা তো আছেই। তবে এখানে নমুনা দেখায়ে দেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ইতিহাসের সবচাইতে বড় শিক্ষা হলো- ইতিহাস থেকে মানুষেরা শিক্ষাগ্রহণ করে না। একজন যে কাজ করে বিপদে পড়ে, আরেকজন এসে সেই কাজেই অগ্রসর হয়।
তার এমন ওয়াজ নিয়ে মন্তব্য করেছেন হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী। মো. রেদোয়ান হোসাইন নামের একজন লেখেন- ‘কথা গুলি ১০০% সঠিক বলে গিয়েছে হুজুর’। মাসুদ রানা নামের একজন লিখেছেন- ‘এমন একজন আলেম এমন একজন মুসলমানের পথপদর্শক আগামি ১০০ বছরে সৃষ্টি হবে না’। এমডি শাহিন খান লেখেন- ‘স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে’। আর রাকিব খান নামের একজন লেখেন- ‘আল্লাহ তুমি কুরআনের পাখিকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব কর আমিন’।
এসইউ