ছবি: সংগৃহীত
সংকট নিরসনে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি জোট। সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ও মিত্র দলগুলোর নেতাদের বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেয়া হয়। তারা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে জোট নেতারা একমত হন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই ২০২৫ সাল অতিক্রম করতে পারে না। তারা সতর্ক করে বলেন, যদি নির্বাচন ২০২৫ সালের পর হয়, তবে দেশে অস্থিরতা বাড়বে এবং ফ্যাসিবাদের শক্তি সঞ্চয় হয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হবে, যা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার যে সময়সূচি দিয়েছে, তা নিয়ে তাদের কোনো পূর্ব ধারণা ছিল না এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এমন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সংস্কারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে, এবং সংসদে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তিনি জোর দেন যে, নির্বাচন পূর্বে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কিছু সংস্কার করা উচিত, এবং যেখানে ঐকমত্য হবে না, সেখানে তা জনগণের কাছে তুলে ধরে পরবর্তীতে কাজ করতে হবে।
বৈঠকে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়, বিশেষত অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ নিয়ে। নেতারা দাবি করেন, নির্বাচন করতে হলে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নির্বাচনের জন্য আরও সময় নেবে, যা সংকট বাড়াবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতারা, যেমন দলটির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, এবং অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার।
এম.কে.