ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন নওফেল

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন নওফেল

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট তৈরির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের কাছে জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ায় অবস্থিত কারখানায় নকল সিগারেট উৎপাদন করে।

এসব সিগারেট পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের।

বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। প্রতিষ্ঠানটি নকল সিগারেট তৈরি এবং বিক্রির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয় করেছে, যার একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবেও জমা দেওয়া হয়েছে। নওফেল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে। এসব কাঁচামাল দিয়ে প্রায় ৫ কোটি সিগারেট শলাকা তৈরি করা সম্ভব। এতে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর তথ্য উঠে এসেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমাদের প্রতিবেদন এনবিআরে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর গ্রহণ করবে।"

এ বিষয়ে গত ৮ অক্টোবর একটি গণমাধ্যম “৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে নওফেল ও আবদুস সবুর লিটনের নকল সিগারেট ব্যবসার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আশিকুর রহমান

×