বীকন ফার্মাসিউটক্যালস
শেয়ার বাজারে কারসাজিতে জড়িত বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি এবাদুল করিম ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার করিম সহ পুরো পরিবার। এই কাজে তাদের সহযোগিতা করে এমটিভি’র সিকিউরিটিজ ও এবি সিকিউরিটিজ। এমডির পিএস এবং পিয়নের নামে এ দুটি হাউসের বিও একাউন্টে গেছে ১৫৪ কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি ওরিয়েন্ট ইনফর্মেশন শেষের কারসাজির দায়ে তাদের জরিমানাও করেছে বিএসসি।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। ২০১৩ সালে বিদেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু করা কোম্পানিটির রপ্তানি বৃদ্ধি পেলেও ২০২০ এরপর থেকে তারা আর ওষুধ রপ্তানি করেনি। পরে বীকন মেডিকেয়ার লিমিটেড এর নামে রপ্তানি করা হয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সব পরিচালক ও দায়িত্বশীলরা এবাদুল করিমের আত্মীয়। লাভের অংশ শেয়ারহোল্ডারদের না দিয়ে নিজেদের মধ্যে রাখতেই এই কৌশল, অভিযোগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুন নাহার করিম, ছেলে উলফাত করিম, মেয়ে বিকমের পরিচালক রীতা করিম সহ পরিবারের অনেকে জড়িত শেয়ার কারসাজিতে। সম্প্রতি ওরিয়ন ইনফিউশন এর শেয়ার কারসাজির দায়ে তাদেরকে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
২০১৮-২১ সালে বিকন ফার্মার এমডি এবাদুল করিমের পিওন আক্তার হোসেন, পিএস আজাদ হোসেন পাটওয়ারী, ছেলে উলফাত করিম, পরিচালক সোহেল আলম সহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিও অ্যাকাউন্টে ১৫৪ কোটি ২০ লাখ জমা দেন এবাদুল করিম। এমন অস্বাভাবিক লেনদেন হয় এমটিবি সিকিউরিটিজ ও এবি সিকিউরিটিজে। যার সবগুলো চেকের কপি ও মানি রিসিভ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে নুরুন নাহার করিম জানান, তিনি শেয়ার ব্যবসার কিছুই বোঝেন না। সিকিউরিটি হাউসের লোকজন সব করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা সম্বন্ধে কিছু বলতে পারব না। আমি বুঝি কম। বুঝলে কি আমি শেয়ারে ধরা খাই? আমার অনেক শেয়োরে ধরা খাওয়া।’
২০১৬-২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫-৬ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় বিকন ফার্মা। যদিও পরের বছরগুলোতে বেড়েছে লভ্যাংশের পরিমান।
এম হাসান