জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ আরাফাত (১১) নামে আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আরাফাত মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বলা হয়েছে, "শহীদের মিছিল ভারি করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ১২ বছর বয়সী কিশোর আরাফাত শাহাদাতবরণ করেছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন থাকাকালে তার হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"
এতে আরও বলা হয়েছে, "শহীদদের এই বেদনাদায়ক মৃত্যু আমাদের আরও সাহস ও উৎসাহ দেয় নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে। শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ তৈরি করতে আমরা একবিন্দুও পিছপা হবো না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যু এবং জুলাই মাসের গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সকল সদস্যদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।"
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু সেখানে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। প্রায় সাড়ে ৪ মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
রাসেল