ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে ২৬শে নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল নিহত হন। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা বারের তদন্ত কমিটির সবাই পদত্যাগ করেছেন।
কমিটির প্রধান সাবেক মহানগর পিপি ও আইনজীবী আবদুস সাত্তার জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে এই সুপারিশ করেন এবং তিনি তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
তিনি জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে জেলা জজ পদমর্যাদার কাউকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন। ঘটনাটিতে বিচারিক ক্রটি, প্রিজনভ্যানে পুলিশের মাইক আসামির ব্যবহারের বিষয়, সরকারি কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা এবং আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন।
আবদুস সাত্তার বলেন, "আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছে, যেগুলো পুলিশ তদন্ত করছে। তবে শতভাগ নিরপেক্ষ তদন্তের পরেও এ নিয়ে কেউ না কেউ প্রশ্ন তুলবেন বা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে চাইবেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছি এবং নিজে কমিটি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। ১৮ ডিসেম্বর বার আমার আবেদন গ্রহণ করেছে।"
তিনি আরও জানান, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি থেকে ইতোমধ্যে সদস্যসচিব কাশেম কামালসহ আরও কয়েকজন সদস্য অব্যাহতি চেয়েছেন। এই কারণেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে আবদুস সাত্তার বলেন, "আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমিতির পক্ষ থেকে ১০ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ১৫ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে এর মধ্যে সদস্যসচিবসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন। এটি একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা।"
তিনি আরও বলেন, "এ ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে এবং তাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রিজনভ্যানে থাকা অবস্থায় আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস পুলিশের মাইক ব্যবহার করে বক্তব্য দিয়েছেন, এমনকি এক ঘণ্টার মধ্যে মামলার নকল সংগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণ কেউ তদন্ত করলে সুষ্ঠু ফল পাওয়া যাবে না। এজন্য একজন জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের মাধ্যমে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।"
নাহিদা