নিহত আরাফাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত (১১) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় সে। আরাফাত মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলো।
আরাফাতের বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা থেকে নাজেরা শেষ করেছিল আরাফাত। কোরআন শরীফের তিন পাড়া মুখস্থ করে কিতাব বিভাগের এবতেদিয়ায় অধ্যয়নরত ছিল সে।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয় আরাফাত। এরপর প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর নেয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সাড়ে ৪ মাস সেখানে ভর্তি থাকার পর রবিবার রাতে সে মারা যায়।
আরাফাতের বাবা জানান, ঘাতক বুলেট নিহত আরাফাতের বাম পাজরের দিক দিয়ে ঢুকে পাজরের হাড্ডি ও মেরুদণ্ড ভেঙে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার একটি কিডনিও নষ্ট হয়ে যায়। আরাফাতের মরদেহ সিএমএইচ থেকে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হবে। সোমবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, রাত ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে আরাফাতের নিহতের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহিদের মিছিল ভারী করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ১১ বছর বয়সী কিশোর গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাত বরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) হয়ে তিনি শাহাদাত বরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শাহাদাতবরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহিদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে একবিন্দুও পিছপা হবো না। শহিদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সব সদস্যদের অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শহীদ