ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিয়ে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার রাতে ফেসবুকে এই প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দুদক একটি সাংবিধানিক তদন্ত সংস্থা হবে এবং পাঁচজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হবে। একজন হবেন চেয়ারম্যান। সার্চ কমিটিতে ন্যায়পাল ও অভিজ্ঞ অধ্যাপককে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নিয়োগের আগে সংসদীয় শুনানি বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। তাদের অপসারণ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুদক তফসিলি অপরাধ তদন্ত করবে। তবে এর বাইরে থাকা অপরাধের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিতে হবে।
দুদক প্রতিবছর সংসদে বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে এবং তা নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। কমিশনের বিধি সংসদের উচ্চকক্ষে প্রণীত হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কমিটি ছাড়া কেউ তদন্ত করতে পারবে না।
দুদক তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, জাতীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। তদন্ত পদ্ধতি ঔপনিবেশিক ফৌজদারি কার্যবিধির পরিবর্তে দুদকের আধুনিক কার্যবিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।
দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তদন্ত করবে প্রধান ন্যায়পাল বা অন্য ন্যায়পালরা। কমিশনের আইনের অস্পষ্টতা দেখা দিলে সরকারের পরিবর্তে সংসদের উচ্চকক্ষ ব্যাখ্যা প্রদান করবে।
এম.কে.