ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এসময় তারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
এসময় কমিশন প্রধান বলেন,দেশের মানুষের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে প্রধান কমিশনার ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আগামীতে অতীতের মতো কোন প্রহসনের নির্বাচন হবে না। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে কাজ করছে কমিশন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৩১ তারিখের আগেই আমরা আমাদের প্রস্তাবটা দেব। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনি ট্রেনটা যেন ট্র্যাকে উঠে। এ জন্য প্রথম কাজ যেটা দরকার ছিল নির্বাচন কমিশন গঠন করা। ওনারা তাই করেছেন।’বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুরোনো আইনে পরিচালিত হলেও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক নয় বলে মন্তব্য করেন।
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাজের সঙ্গে তাদের কোনোরকম সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করছে না। যাদেরকে নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে তারা অত্যন্ত সম্মানিত এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা সঠিক ব্যক্তি এবং তারা আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।’
নির্বাচনে প্রশাসন আর কারও পক্ষে ব্যবহার হতে চায় না মন্তব্য করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আজকে কথা বলেছেন। ওনারাও ব্যবহৃত হতে চান না। তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘ইভিএম এর আর প্রশ্নই আসে না। ওটা হবে না। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, আমরাও একই মত দিয়েছি।’
হলফনামায় তথ্য গোপন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামায় অনেক রকম ভুয়া তথ্য থাকে, গোপনও করা হয়। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ারও পরিকল্পনা করছি। আমাদের প্রস্তাবনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
এ সময় কমিশনের কাছে সবাই আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করে নানা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তাবিব