ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভোলার ৩ কূপ থেকে বছরে ২৮১৭ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৪২, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোলার ৩ কূপ থেকে বছরে ২৮১৭ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য

.

দেশীয় শিল্প-কারখানায় ক্রমেই বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। এই লক্ষ্যে গ্যাস আমদানির পাশাপাশি অনুসন্ধান শুরু করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে দ্বীপ জেলা ভোলায় মোট তিনটি গ্যাস কূপের সন্ধান পায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এসব কূপ থেকে বছরে উত্তোলন হবে ১৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস। প্রতি বিসিএফ গ্যাসের আমদানি মূল্য ১৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা হিসাবে যার মোট মূল্য ২ হাজার ৮১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তবে এই গ্যাস উত্তোলনে প্রয়োজন গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন টাইপ প্রসেস প্লান্ট। এজন্য বাপেক্সের সার্বিক তদারকি ও পরিচালনায় ২৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। সোমবার জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকার ও বাপেক্সের যৌথ অর্থায়নে ভোলা নর্থ গ্যাসফিল্ডের জন্য দৈনিক ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেস প্লান্ট প্রকল্পটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয়ের মধ্যে ১৯০ কোটি ৪০ লাখ টাকা দেবে সরকার এবং অবশিষ্ট ৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন। কিন্তু প্লান্ট প্রস্তুত হলে দৈনিক ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট হিসাবে ২০ বছরে মোট ৩৪৬ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন হবে, যার আমদানি মূল্য ৫৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।
জানা গেছে, বাপেক্সের অনুসন্ধানে ২০১৮ সালে ভোলায় পিএসসি-১০ ব্লকের অন্তর্গত ভেদুরিয়ার কাছাকাছি ভোলা নর্থ-১ কূপ থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। পরে ২০২৩ সালে ভোলা নর্থ-২ ও ইলিশা-১ কূপ থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় বাপেক্স। প্রতিটি কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হিসাবে মোট ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বছরে ১৭ দশমিক ৩ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন হবে। তবে অপরিশোধিত এই গ্যাস উত্তোলনে প্রয়োজন হবে গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন প্রসেস প্লান্ট। কারণ তরল অপরিশোধিত গ্যাসে পানি মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাসের প্রবাহের মধ্যে দ্রবীভূত পানি দূর করতে সাধারণ ও সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া হলো গ্লাইকল। এই ব্যবস্থায় দ্রবীভূত পানিকে জলীয় বাষ্প হিসেবে একদিক দিয়ে বের করে দেওয়া হয়, অপরদিক দিয়ে গ্যাস রিজার্ভারে জমা হয়।
ভোলা জেলার পার্শ্ববর্তী জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস যুক্ত করতে টার্নকি ভিত্তিতে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস গ্যাদারিং লাইনপাইপ ও প্রসেস প্লান্ট স্থাপনে ১৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে বাপেক্স এর কারিগরি কমিটি ভোলা-বরিশাল মহাসড়কে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট রোডের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে প্রসেস প্লান্ট স্থাপনে সুপারিশ করেছে। কারিগরি কমিটি জানিয়েছে, ভোলার শাহবাজপুর  ও ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্র দুইটি জাতীয় গ্রিড লাইনে যুক্ত হলে ভোলা থেকে দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে দেশীয় গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এতে যেমন দেশী শিল্পের বিকাশ হবে, তেমনি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। কেননা, উল্লিখিত ৩টি গ্যাসকূপ থেকে আগামী ২০ বছরে ৩৪৬ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। যেহেতু প্রতি বিসিএফ গ্যাস ১৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সে হিসাবে এই পরিমাণ গ্যাস আমদানিতে ৫৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা ব্যয় হতো। তবে সরকার যেহেতু এখন জ্বালানিতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে ওই গ্যাস বিক্রি করতে হতো ২৩ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকায় (পেট্রোবাংলার বিক্রি রেট প্রতি বিসিএফ ৬৪ দশমিক ৭৬ কোটি)। যেহেতু এই পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে না, তাই সরকারের সাশ্রয় হবে ৫৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এ ছাড়াও একনেক সভায় আরও ৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এসবের মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী এলাকার রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট এলাকায় নদী বন্দর নির্মাণ (সংশোধিত প্রকল্প), ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলায় কৃষির উন্নয়নে আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প, বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৭ জেলায় অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কেটে পুনঃ বাগান তৈরি ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিক প্রকল্প, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন (অনুসন্ধান) প্রকল্প, বাপেক্স এর দ্বিমাত্রিক সিইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ ও ৯ প্রকল্প এবং ৮টি বিভাগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন প্রকল্প। আজ সোমবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চিলমারী এলাকার রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট এলাকায় নদী বন্দর নির্মাণ (সংশোধিত প্রকল্প): কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে নতুন আইন অনুযায়ী জমির মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা, কাজের ব্যয় (রেট শিডিউল) বৃদ্ধি, অফিসার-কর্মচারীদের বেতনসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধিত আকারে উপস্থাপন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয়ের মূল অনুমোদন ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তবায়নের মেয়াদ ডিসেম্বর, ২০২৩ সাল থেকে দুই বছর বৃদ্ধি করে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলায় কৃষির উন্নয়নে আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প: সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলার ৭ উপজেলা নিয়ে প্রকল্পটি চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের জুন মাসে শেষ হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের এগ্রো-ইরিগেশন প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম সচল, আশুগঞ্জ ও ঘোড়াশাল থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে প্রাপ্ত পানি শীতল করে সেচ সুবিধার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন অব্যাহত, ভূ-গর্ভস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় কৃষকদের সেচ ব্যবস্থাপনা, খাদ্যশস্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত থেকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা প্রধান লক্ষ্য।
বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প: কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৪টি উপজেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উন্নীতকরণ, সমন্বিত সার ব্যবস্থাপনা, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচের পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ফসলের ব্যয় ১০-২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে সক্ষম ফসলের চাষ বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক অবস্থার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।
পুনঃবাগান তৈরি ও রাবার প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন প্রকল্প: বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১শ কোটি টাকা এবং বিএফআইডিসি ৪৫ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৭ জেলার ১১টি উপজেলায় বিএফআইডিসি’র মালিকানাধীন ১৮টি বাগানে অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো ১০ লাখ গাছ কেটে প্রতিস্থাপন, রাবার প্রসেসিংয়ে কারখানায় ৪ দশকের পুরনো যন্ত্রপাতির বদলে আধুনিক রাবার প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন, রাবারের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে টেস্টিং ল্যাব, ৫টি বর্জ্য শোধনাগার এবং ১০টি ওয়্যারহাউস নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।  
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রশিদপুর-১১ নং কূপ খনন (অনুসন্ধান) প্রকল্প: প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) মাধ্যমে অনুসন্ধানী কূপ খনন করা। প্রকল্পটির এলাকা হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রশিদপুর। প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে টার্নকি ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে খনন কার্যক্রম, প্রকৌশল সেবা, খননকার্য সংশ্লিষ্ট মালামাল সরবরাহ এবং ভূমি উন্নয়নসহ স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম; বিদেশী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ। সরকার এবং এসজিএফএল’র যৌথ অর্থায়নের প্রস্তাবিত প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে অক্টোবর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত। প্রকল্পটির সম্ভাব্য মোট ব্যয় ২৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার মধ্যে সরকার থেকে ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং এসজিএফএল থেকে ১৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।  
বাপেক্সের এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ ও ৯ প্রকল্প: ভূ-গর্ভস্থ খনিজ (গ্যাস, তেল, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি) অনুসন্ধানে ৪ বিভাগের ১৭ জেলার ৭৮টি উপজেলায় কার্যক্রম চালাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। সম্ভাব্য ব্যয় ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাপেক্সের অর্থায়ন ৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের জন্য আন্তর্জাতিক সিসিমিক সেবা প্রদানকারী নিয়োগ, সিসমিক সেবা প্রদানকারী কর্তৃক ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে মে ২০২৭ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো, প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণ এবং রিজার্ভ মূল্যায়ন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন প্রকল্প: দেশের ৮টি বিভাগের ৪৫টি জেলার ১২টি সিটি করপোরেশন এবং ১৩টি উপজেলায় কর্মজীবী মায়ের শিশুদের (৪ মাস থেকে ৬ বছর) নিরাপদ দিবাকালীন সেবা প্রদানে সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সম্ভাব্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- শিশুখাদ্য সরবরাহ, আউটসোর্সিং, অফিস ভবন ভাড়া, আসবাবপত্র ক্রয়, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, সিসি ক্যামেরা, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসি ও আইপিএস ইত্যাদি) ক্রয়, ক্রীড়া সামগ্রী এবং হায়ারিং চার্জ ও পোশাক (শিশু ও কর্মচারীদের) ক্রয়। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।

 

×