সমাজে অবহেলিত জনগোষ্ঠীদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অন্যতম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজের নানাক্ষেত্রেই তারা চরম বৈষ্যমের শিকার হন প্রতিনিয়ত। এমনকি তাদেরকে সম্বোধনের ক্ষেত্রেও মানা হয় না কোনো বিধান। যদিও আইন রয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কোনো কানা, খোঁড়া, ল্যাংরা সম্বোধন না করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিই বলতে হবে। লিখার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
রবিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে উইমেন উইথ ডিজ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউডিডিএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিসকাশন মিটিং অন ওমেন উইথ ডিজএবিলিটিজ এন্ড দেয়ার রাইটস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, এই আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীতা অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত ও পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য ও আইন বাস্তবায়নে অভাব রয়েছে । প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েদের সমাজে আরো দৃশ্যমান ও নেতৃত্বস্থানে আসার আহবান জানান।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েদের বর্তমান সময়ের সাথে তালমিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগোযোগের এক্সেসিবিলিটি অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীদের যৌন সহিংসতার সম্ভাবনা বেশি এবং অনেক পরিবার তাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে জরায়ু রিমুভ এর মত জগন্য খারাপ কাজ করতেও দ্বিধা করে না তাই পরিবার, সমাজ এবং চিকিৎসকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয় প্রতিবন্ধী নারীদের উন্নয়ন এবং অর্নভূক্তির জন্য প্রয়োজন সুন্দর মাইন্ডসেট যা তাদের নেতৃত্ব বিকাশ ও মূলস্রোত ধারায় আনতে সহযোগিতা করবে।
এসময় ডাব্লিউডিডিএফ এর কার্যক্রম ও পরিসেবাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর প্রিয়তা ত্রিপুরা। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর আলোকে প্রতিবন্ধীতা বিষয়ক সংজ্ঞা, ধরন এবং বাংলাদেশে সহিংসতার কারন, ফলাফল, সহিংসতা প্রতিরোধের কৌশল, প্রতিবন্ধী নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের চিত্র ও সুপারিশসমূহ ও সংবাদ/মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা কিরুপ হবে সে সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
শিহাব