ছবি: সংগৃহীত।
বিলাসবহুল নকশা ও উচ্চমূল্যের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ৩০০ কোটি টাকার বাড়িটি এখন আরও বিতর্কিত। এই বাড়ির মালিক মাহতাবুর রহমান নাসির, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়িটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গোপন আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর গুঞ্জন ছড়ায় যে, ওবায়দুল কাদের সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন। কিছু সময় পর, একাধিক সূত্র থেকে খবর পাওয়া যায় যে, সুযোগ বুঝে সেখান থেকেই পালিয়ে গিয়েছেন কাদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, তারা শুনেছেন কাদের ওই বাড়িতেই ছিলেন এবং পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে যান। যদিও, বেশিরভাগ লোক ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি।
একজন এলাকাবাসী জানান, “আমরা শুনেছি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩০০ কোটি টাকার বাড়িতে ছিলেন। ওই বাসাতে তো আগে থেকেই ঢোকা যায় না। তাকে আমি দেখিনি, তবে মানুষের মুখে শুনেছি তিনি ওই বাসায় ছিলেন।”
তবে, কাজি ক্যাসেলের কর্মচারীরা এসব দাবি অস্বীকার করেছেন। তাদের বক্তব্য, ৫ই আগস্টের পর থেকে বাড়িটি খালি রয়েছে এবং কাউকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা এটিকে গুজব বলে দাবি করেছেন।
একজন নিরাপত্তা কর্মী বলেন, “৫ আগস্ট আমি এখানে ডিউটিতে ছিলাম। অনেক মানুষ এসেছিল হামলা করতে। আমরা নিজেরাই অনেক আতঙ্কিত ছিলাম। তাই কাদেরের এখানে থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। এখন এখানে কেউ থাকেন না, শুধু কর্মচারীরা থাকেন।”
তিনি আরও বলেন, “এগুলো সব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এখানে কেউ থাকেন না, শুধু কাজের মানুষরা কাজ করে এখানে থাকেন। ৫ আগস্ট অনেকেই এসেছিল এখানে দেখতে, আমি বলেছিলাম ‘আপনারা এসে দেখে যান।’ তারা চলে গিয়েছিল।”
আরেকজন কর্মী দাবি করেন, “এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এখানে দশ বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু কাউকে এখানে আসতে বা থাকতে দেখিনি।”
তবে, কাজি ক্যাসেল নিয়ে এই গুঞ্জনের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি একটি তদন্তের দাবি রাখে। বিশেষ করে, তিন মাস পর কিভাবে ওবায়দুল কাদের দেশ ছেড়েছেন, তা নিয়ে হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছেন।
নুসরাত