ছবি: গোলাম মাওলা রনি
ওবায়দুল কাদের তিন মাস বাংলাদেশে জামাই আদরে ছিল ।সবাই কথা বলছে সে কোথায় ছিল? কার বাড়িতে ছিল? কার জিম্মায় ছিল? তাকে কারা আশ্রয় দিয়েছিল? এসব নিয়ে নানারকম গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল থেকে সরকার কর্তৃক নোটিশ জারি করার আদেশ দিয়েছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ওবায়দুল কাদের কিভাবে পালিয়ে গেলেন? সবাই মনে করেছিলেন ওবায়দুল কাদের ভারতে গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি একেবারে নিরাপদে বাংলাদেশে তিনটি মাস ছিলেন। এটা একটি ভয়াবহ সংবাদ। আমরা যারা এই আন্দোলনের পক্ষের শক্তি। আমাদের জন্য অপমানকর এবং অসম্মানজনক। বাস্তবতা হলো তিনি ছিলেন এবং নিরাপদে এখান থেকে চলে গেলেন দিল্লিতে অথবা কলকাতাতে। এর দ্বারা কি বুঝায় অর্থাৎ যারা তাকে নিয়ে গিয়েছে নিঃসন্দেহে এখানে তাদের গোয়েন্দা সংস্থার “র” অংক কষে ওবায়দুল কাদেরকে তারা বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং তাদের প্রয়োজনে তাকে নিয়ে গেছে। যদি ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তাদের কোন প্ল্যান না থাকতো আওয়ামী লীগকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা না থাকতো তাহলে তারা তাদেরকে নিয়ে যেতেন না।
তিনি আরও বলেন,ওবায়দুল কাদেরের মত একজন হেভিওয়েট মানুষ যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে হয় তাহলে অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয়। এই ধাপের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে এবং ভারত যে কমান্ড দিয়েছে সেই নির্দেশ অনুযায়ী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাকে পালাতে সহায়তা করেছে। এই বাস্তবতা মেনে নিলে ভারত আসলে তাকে নিয়ে গিয়েছে। আহবান করে নিয়েছে, কেন নিয়েছে? তারা আবার বাংলাদেশে পাঠাতে চায় তাদের প্রতিনিধি রূপে।
সুতরাং ওবায়দুল কাদের যে তিন মাস পালিয়ে ছিলেন বা ভারতে পালিয়ে গেছেন এটাই মূল খবর নয়। মূল খবর হচ্ছে আগামী দিনে আমাদের রাজনীতিতে কি মেরুকরণ হচ্ছে। আমাদের জন্য কি পরিণতি অপেক্ষা করছে এবং আমাদের এই দেশে আমরা যে এত ভারত বিরোধী এটার পরিণতি কি হবে? এখানে যখন ভারতের তাবেদার সরকার ছিল, তখন একজন আবরার ভারতের বিরুদ্ধে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল। যার জন্য তাকে খুন হতে হয়েছিল। তার কর্ম অমর এবং অক্ষয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশে।
যদি ওবায়দুল কাদেরকে নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে। তাহলে দুইদিন পরে আনিসুল হক জেলখানা থেকে বা সালমান এফকে লন্ডনে দেখা যাবে না তার কোন গ্যারান্টি আমি দেখছি না ।আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে হেফাজত দান করুক।
সাইদ