ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব (ছদ্মনাম) ৪৩ তম বিসিএস-এর শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও চাকরি পাননি। কারণ, পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার জটিলতায় তার নিয়োগ আটকে গেছে।
রাকিবের বাবার একসময়কার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং মামলাভুক্ত আসামি থাকার প্রেক্ষিতে গেজেট প্রকাশের সময় তার নাম বাদ পড়ে। পুনরায় ভেরিফিকেশনের আবেদন করলেও তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ ও হয়রানির শিকার হতে হয়।
রাকিব বলেন, "এনএসআই, ডিজিএফআই এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু আমি যে তথ্য দিয়েছি, তারা সেটি রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয়নি। এখন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুনলেই আমি আতঙ্কিত হই।"
এটি শুধু রাকিবের অভিজ্ঞতা নয়। এর আগে ২৬তম সার্জেন্ট এবং ৪০তম পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নিয়োগেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক পরিচিতির কারণে অনেকের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে বাংলাদেশ পুলিশের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, ভেরিফিকেশনে প্রার্থী নিজে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কি না, তা যাচাই করা হবে। প্রার্থীর বা তার পরিবারের রাজনৈতিক পরিচিতি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
এই হয়রানি ও দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিলের সুপারিশ করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করলে প্রার্থীর দেওয়া তথ্যের স্বচ্ছতা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই এই প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনা জরুরি হলেও তা বাতিল করা বাস্তবসম্মত নয়।
রাসেল