ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাছির
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাছির সম্প্রতি তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা হত্যাকান্ড ভারতের ইশারাতেই করানো হয়। সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত ছিলো ভারত। বলা যায়, ভারত হলো এর মাষ্টারপ্লানার।
বড়ইবাড়ি এবং রৌমারীতে ব্যপক সংখ্যক ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী সেই বিদ্রোহের সময় নিহত হয়।
ঠিক সে কারণেই ভারত সিদ্ধান্ত নেয় তারা বাংলাদেশের বাহিনীদের মাঠ থেকে ধ্বংস করে দেবে এবং সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসায় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে ভারত দুটি বুদ্ধি ঢুকিয়ে দেয় শেখ হাসিনার মাথায়।
একটি হলো, সামরিক বাহিনী এবং বিডিআর সক্রিয় না থাকলে শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এতে প্রতিবেশী দেশ ও শান্তিতে থাকবে এবং বাংলাদেশ তাদের কাছে সব ধরণের সহযোগিতা পাবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, যারা সেই তদন্তকে কাঁটাছেড়া করতে বা তদন্তকে অকার্যকর একটা তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করতে সহায়তা করেছিলো পরবর্তীতে তাদেরকেই পুরস্কৃত করা হয়। ক্রিমিনাক তদন্ত করা আবুল কাহার আগানকে অবসরপ্রাপ্ত এ,এস,পি থাকা সত্বেও তাকে আবারও পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ফেরত এনে ডিআইজি র্যংক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। তাকে দিয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত করানো হয়েছে এবং রাজনৈতিক ইচ্ছামতো তদন্ত কাজ চলেছিলো।
তিনি বলেন, সেই তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি রিপোর্ট করা ফলে তাকে প্রফেশনালি হ্যারাজ করা হয় যে কারণে তিনি চাকরী ছাড়তে বাধ্য হন।
হাসান নাসির বলেন,২৫- ২৬ ফেব্রুয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের নামে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিলো সেই হত্যাকাণ্ডের পরে যে জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো সেই কমিটিতে তিনি সেনাবাহিনীর পক্ষের একজন প্রতিনিধী ছিলেন।
ফলে তিনি দেখতে পান, অন্যায়ভাবে কতশত সৈন্যকে কারাগারে ঢুকিয়ে শাস্তি প্রদান করা হয়েছিলো তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ১৬ বছর পরও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া সত্বেও এখনো অনেক বন্দি জেল থেকে বের হতে পারেনি। উদ্দেশ্য ছিলো বিডিআর সদস্যদের জেলের ভিতরেই হত্যা করার।
সবশেষ, তিনি সবকিছুর জন্য ন্যয়বিচার দাবি করেন এবং সেইসকল বন্দিদের মুক্ত করার আহ্বান জানান।
রিয়াদ