দেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যুবকদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য, এজন্য পুরনো দলগুলোতেও যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মীর্যা গালিব।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে "সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট- সিজিডি" আয়োজিত "নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: সমস্যা ও সম্ভাবনা" শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন সিজিডি’র নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম।
মীর্যা গালিব বলেন, "নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে অবশ্যই যুবকদেরকে সাথে রেখে। দেশের সকল পুরাতন দলেও যুবকদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।"
কী-নোট স্পীচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি হতে হবে জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম। এ ক্ষেত্রে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যুবকদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
সেমিনারে বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ড. ফয়জুল হক, জবান সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
ড. ফয়জুল হক বলেন, বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ৫ আগস্টের আগের সময়ের চেয়েও বেশি জরুরি। যুবসমাজকে বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল হবে না।
সিজিডি’র নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানে শুধু দল গঠন নয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ধারা পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা প্রয়োজন। আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৩০% মনোনয়ন যুবকদের দিতে হবে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মেহেদী কাউসার