ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ড্রোনের গোয়েন্দাগিরি! বাংলাদেশকে কেন দায়ী করছে ভারত? কী ঘটছে সীমান্তে?

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৬:১৫, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ড্রোনের গোয়েন্দাগিরি! বাংলাদেশকে কেন দায়ী করছে ভারত? কী ঘটছে সীমান্তে?

ভারতের মেঘালয় সীমান্তে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারী চালাচ্ছে বাংলাদেশ! মেঘালয় রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফের পক্ষ থেকে উঠেছে এমন অভিযোগ।তাদের দাবি সুনামগঞ্জ জেলার উত্তরাঞ্চলে উড়তে দেখা গেছে একাধিক মানববিহীন আকাশ জান। এগুলো উড়ানোর উদ্দেশ্য হতে পারে সীমান্তে নজরদারি, আড়িপাতা অথবা অস্ত্র সরবরাহ আর এমন দাবিও করেছে তারা।
 কখন আন্তর্জাতিক আকাশ সীমা লংঘন করেছিল এসব ড্রোন?  সম্প্রতি বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের বানোয়াট খবর প্রকাশ করে প্রতিবেশী দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম। এবার মেঘালয় ড্রোন স্পটের ঘটনা নতুন করে উসকে দিচ্ছে নানারকম বিতর্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করা হলেও বারবার কেন বাংলাদেশকে দায়ী করছে ভারত কোত্থেকে আসলো এসব ড্রোন?

ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার চলমান সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে সীমানা লঙ্ঘন চরম মাত্রায় উস্কানি বলে মনে করা হচ্ছে।
মেঘালয়ের এসব ড্রোনের মালিকানা পর্যাপ্ত প্রমাণাদি সহ নিশ্চিত না হয়ে একতরফা বাংলাদেশকে দায়ী করলে আরও বাড়বে কূটনীতিক টানাপোড়ন। মেঘালয়ের পুলিশ মন্ত্রী দাবি করছেন,চেরাপুঞ্জির কাছে যেসব ড্রোন উড়তে দেখা গেছে সেগুলো উড়নো হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন ভারতে অনুপ্রবেশ করা, ড্রোন উড়িয়ে আকাশ সীমা লঙ্ঘনের মত বিষয়গুলো নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তার দপ্তর।


বাংলাদেশের ড্রোনের ভারতীয় আকাশ সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হতে দেখা গেলেও মেঘালয়ের দায়িত্বশীল পুলিশ মন্ত্রী ছাড়া বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ, ভারতের সামরিক বাহিনী বা মেঘালয় পুলিশের কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি।

তবে একাধিক ড্রোন গুলো কোন দেশ থেকে আসলো, কিভাবে, কোত্থেকে আসলো ?সংঘাতপূর্ণ সময়ে কেন সীমান্তে দেখা গেল ? কিভাবে এগুলো আন্তর্জাতিক বর্ডার পার হলো? প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য এটা হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ!
মেঘালয়ের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে ৪৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত এনডিটিভিসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে এইসব ড্রোনগুলো তুরস্কের তৈরি।


হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ড্রোনগুলো পরিচালিত হয়েছিল ঢাকায় অবস্থিত বিমান বাহিনীর একটি বেঞ্চ থেকে এবং চট্টগ্রাম জহিরুল হক এয়ার বেজ থেকেও উড়ানোর খবর জানায় ভারতের একটি গণমাধ্যম। তবে এসব দাবির পেছনে দেখানো হয়নি কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ।

উল্লেখ্য,২০২২ সালে তুরস্কের কাছ থেকে টিভি ২ ড্রোন কিনার চুক্তি করে বাংলাদেশ ।২০২৪ সালে খবর পাওয়া যায় সামরিক বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী আকাশ জান।এর প্রেক্ষিতেই মেঘালয় সীমান্তে দেখার ড্রোন গুলোকে বাংলাদেশের বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা দু'দেশের পরিস্থিতি যতই মন্দ হোক সামরিক সংঘাতে জড়াতে চাইবে না ভারত ও বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ড্রোন নিয়ে দোষারোপের খেলা বাদ দিয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে একসাথে কাজ করার বিকল্প নেই।

সাইদ

×