ছবি:ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশোতে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ভারত-আওয়ামী লীগের মধ্যে গোপন ৭ দফা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে ভারত বাংলাদেশকে শুরু থেকে কিভাবে দেখছে? সে বিষয়টা আমাদের পরিষ্কার হওয়া দরকার। আপনি যদি ইতিহাসে ফিরে যান ১৯৭১ সালে অক্টোবর মাসে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অস্থায়ী সরকারের শহীদ নজরুল ইসলাম সাহেব যিনি আওয়ামী লীগের ৪ নেতার একজন ছিলেন তার সাথে ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তার সাথে সাত দফা গোপন শক্তি হয়েছিল। যে চুক্তিটি অলি আহমেদের ‘জাতীয় রাজনীতি’সহ অনেক বইতে রেফারেন্সটা পাবেন। এই সাত দফা চুক্তির ভেতরে যদি আপনি পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন ভারত-বাংলাদেশকে শুরু থেকে কিভাবে দেখছে।
চুক্তির প্রথম দফা ছিল, যারা সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল শুধু তারাই প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে। বাকিদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে এবং সেই শুন্যপথ পূরণ করবে ভারতীয় কর্মকর্তারা।
দ্বিতীয় দফা, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবে। কতদিন অবস্থান করবে তার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। আলোচনা সাপেক্ষে করা হবে। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাস থেকে আরম্ভ করে প্রতিবছর এই সম্পর্কের পুনঃনিরীক্ষণের জন্য দুই দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় দফা, বাংলাদেশের কোন নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকবে না।
চতুর্থ দফা, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য মুক্তিবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হবে।
পঞ্চম দফা, সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান। মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়কের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবেন।
ষষ্ঠ দফা, দুই দেশের বাণিজ্য হবে খোলাবাজার ওপেন মার্কেট ইকোনোমি ভিত্তিক। তবে বাণিজ্যের পরিমাণ হিসাব হবে বার্ষিক এবং যার যা পাওনা ব্রিটিশ পাউন্ডে পরিশোধ করা হবে।
সপ্তম দফা, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ,ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে এবং ভারত যতদূর সম্ভব বাংলাদেশকে সহায়তা দিবে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন,কিছু বইতে রেফারেন্স এসেছে স্বাক্ষর করার পরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেন্সলেস হয়ে পড়ে যান ।
সাইদ