ছবি: সংগৃহিত
ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বয়ং হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর তার সাঙ্গোপাঙ্গরাও বিভিন্ন পথে দেশ থেকে পালানোর সময় ধরা পড়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী রাঘব বোয়াল আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, শাজাহান খান ,পলকসহ রয়েছেন আরো অনেকে। প্রত্যেকেই নিজের দেশে থাকার বদলে পালানোর চেষ্টা করলেও পালাতে পারেননি। তবে এর মধ্যে আলোচিত-সমালোচিত নেতা ওবায়দুল কাদের হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ৯৫দিন কোথায় ছিলেন? এটাই ছিল সবার কাছে বড় প্রশ্ন?
দাম্ভিকতার শীর্ষ পর্যায় থেকে ওবায়দুল কাদের তার দাম্ভিকতা দেখাতে কখনো পিছপা হননি। শেষমেশ খবর মিলল ক্ষমতাধর ওবায়দুল কাদের ওরফে কাউয়া কাদের সড়ক পথে কলকাতায় পালিয়েছেন। জানা যায়,গত 8 নভেম্বর ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সড়ক পথে সিলেট হয়ে ভারতের মেঘালয়ে গিয়ে পৌঁছান এবং সেখান থেকে কলকাতায় চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
সূত্রের খবর জানা যায়, প্রায় তিন মাস প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া পেয়েছিলেন কাদের । নিরাপদে এবং আরাম-আয়েশে ছিলেন। সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি দেশে থেকে পালাতে সক্ষম হন। তার এই নিরাপদে দেশ ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের হাত রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদিও সূত্রের খবর ভারতে থাকা দলীয় হাসিনার কোন সুপারিশ ছিল না।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ওবায়দুল কাদের কিভাবে দেশ ছাড়লেন সে সম্পর্কে সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকার বিষয়টি সরকার জানতো না। জানলে তাকে গ্রেফতার করা হতো।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ৩ মাস পালিয়ে থেকে দেশ ছেড়েছেন এমন কোন তথ্য সরকারের হাতে নেই। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট এর পরে দেশে তিন দিন সরকার ছিল না। এক সপ্তাহ দেশে পুলিশ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে দেশে অনেক কিছু হয়েছে। সাধারণ মানুষ দেশের নিরাপত্তা দিয়েছে। ছাত্ররা ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তবে সূত্রের খবরে জানা যায়, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা ওবায়দুল কাদের কে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
সাইদ