ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

বছরের শুরুতেই বিদ্যুতে বইবে সুবাতাস

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

বছরের শুরুতেই বিদ্যুতে বইবে সুবাতাস

নতুন বছরের শুরুতেই বিদ্যুৎ খাতে বইবে সুবাতাস

নতুন বছরের শুরুতেই বিদ্যুৎ খাতে বইবে সুবাতাস। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল বিদ্যুৎ খাতের বড় বড় প্রকল্পগুলো কি আলোর মুখ দেখবে? অন্তর্বর্তী সরকার এক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছে, বলা যায় অনেকগুলো সুখবর দিয়েই বছর শেষ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম পটুয়াখালী আরএনপিএল ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি। 
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই উদ্বোধনে যাচ্ছে এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। শুধু তাই নয় দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রকল্প হিসেবে বিবেচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধনের জন্যও নেওয়া হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। একই সঙ্গে সৌরবিদ্যুতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে দেশজুড়ে ৪০টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে দরপত্র আহ্বান। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালটি বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত। জানুয়ারির শুরুতেই এর একটি ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। এই ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। একই বছর এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কলাপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দ্বিতীয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর কাছেই পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত। 
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এর তথ্যমতে, আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড (আরএনপিএল)-এর যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন লিমিটেড ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ একর আয়তনের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের আগস্টে। এটি পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে রামনাবাদ নদীর তীরে অবস্থিত।
এই প্রকল্পের পরিচালক তৌফিক ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, এই কেন্দ্রের ভৌত কাঠামোসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হয়েছে। পায়রা প্লান্টের বিদ্যমান সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ২০ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রটি উদ্বোধনের লক্ষ্যেই সম্প্রতি বন্ধ রাখা হয়েছে পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো উৎপাদন। পাশের আরএনপিএল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসার লক্ষ্যে সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনের জন্য পিডিবির নির্দেশনায় এ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মওলা জনকণ্ঠকে বলেন, ‘দুই কেন্দ্রের বিদ্যুৎই আমতলী সাবস্টেশন হয়ে এখন গোপালগঞ্জ গ্রিডে যুক্ত হবে।

তারপরই তা জাতীয় গ্রিডে যাবে। পায়রা থেকে আমতলীর প্রায় ২৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন হয়েছে আরএনপিএল কেন্দ্রের জন্য। কাজ শেষ। আশা করছি আমাদের কেন্দ্রটি ২৩ ডিসেম্বর রাতেই আবার চালু করতে পারব। আরএনপিএলও উৎপাদনে যেতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জেনেছি আমরা।’ 
গত ১৬ ডিসেম্বর সোমবার ভোরে বন্ধ করা হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। তাই ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। চাহিদা না থাকায় এতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না জাতীয় গ্রিডে। তবে যেহেতু সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ তাই এই কেন্দ্রটি চালুতে আর কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও উদ্বোধনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোসাটম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগে এখন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। 
রোসাটম কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর রিঅ্যাক্টর প্লান্টটিকে নির্ধারিত প্যারামিটারে আনার জন্য প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে, সরঞ্জাম এবং প্রক্রিয়ার কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। চুল্লি কুল্যান্ট পাম্প প্রথমবারের জন্য চালু এবং পরীক্ষা করা হবে। পারমাণবিক জ্বালানি ছাড়াই নির্ধারিত প্যারামিটারে চুল্লি প্লান্ট পরীক্ষা করা হবে। নির্ধারিত নকশা ও পরিমিতি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ করলে প্রথম ইউনিট চূড়ান্তভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হবে।

এসব বিষয় নিয়ে রোসাটমের উপ-মহাপরিচালক আন্দ্রে পেট্রোভ বলেন, ‘আমরা প্রথম ইউনিট স্টার্ট আপের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে প্রবেশ করেছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যার অধীনে আমাদের অবশ্যই সব অপারেটিং মোডে সিস্টেমের কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য একটি বড় পরিসরের কাজ এবং পরীক্ষা চালাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাধ্যবাধকতা পূরণ করি। প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেই। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করবে।’
এখন সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হলেই কেন্দ্রটির উৎপাদনে যেতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না জানিয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদ উল হাসান বলেন, চূড়ান্ত স্টার্ট আপের আগে অনেকগুলো পরীক্ষা করতে হবে। এতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। পরীক্ষা শেষে সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করলে ফুয়েল লোডিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শন ও পুরো কার্যক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
এদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতেও নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত: ৪০টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে শুরু হয়েছে দরপত্র আহ্বান কার্যক্রম। যেসব কোম্পানি সর্বনি¤œ দর প্রস্তাব করবে এবং সর্বনি¤œ দামে বিদ্যুৎ দিতে পারবে সেই প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া হবে কাজ। 
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী, সৈয়দপুর, জামালপুর, পঞ্চগড়, ঈশ্বরদী, গোপালগঞ্জ, ভালুকা, কক্সবাজার, চকরিয়া, পীরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রেরই উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৫০ মেগাওয়াট। কোনো কোনো কেন্দ্রের সক্ষমতা সাপেক্ষে বাড়তে পারে উৎপাদনও। এক্ষেত্রে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্যও নেওয়া হবে ব্যবস্থা। তবে কেউই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাবে না।
ইতোমধ্যে ১২টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দেশে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এর আগে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হতো। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের সরকারের দেওয়া ৩৪টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যাদেশ বাতিল করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে আসতে পারে। আগে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট করে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দাম বাড়িয়ে রাখা হয়েছিল, এখন যা অনেকটা কমে আসতে পারে।
এর আগে প্রতি ইউনিট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দাম দেওয়া হতো ১৬ থেকে ১৮ সেন্ট। তবে অতি সম্প্রতি যেসব কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে সেখানেও দাম দেওয়া হয়েছে ১০ থেকে সাড়ে ১০ সেন্ট। ভারতে যা সাড়ে চার সেন্টে নেমে এসেছে। তবে ভারতে সূর্যালোক বেশি পাওয়া যায় বলে দাম কিছুটা কম পড়ে। যদিও এতটা দামের হেরফের হওয়া নিয়ে বাংলাদেশে সমালোচনা রয়েছে।
যেসব সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তা হলো, সুন্দরবনের কাছে ১০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাটহাজারীতে ১৮ মেগাওয়াট গ্রিড সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, আরেকটি সবুজপাড়ায় ২০ মেগাওয়াট গ্রিড সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৌলভীবাজারে ২৫ মেগাওয়াট, বাজিতপুরে ২৫ মেগাওয়াট, চন্দ্রঘোনায় ২৫ মেগাওয়াট, উখিয়ায় ৩০ মেগাওয়াট, লোহাগড়ায় ৩০ মেগাওয়াট, নবাবগঞ্জে ৩৫ মেগাওয়াট, কুড়িগ্রামে ৪৫ মেগাওয়াট, ফটিকছড়িতে ৪৫ মেগাওয়াট ও ভালুকায় ৪৫ মেগাওয়াট গ্রিড সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বাতিল করা হয়েছে বিগত সরকারের সময় ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ বিধান ২০১০’ আইনটিও। এতে করে আবারও দরপত্রের ধারায় ফিরেছে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাত। বিদ্যুৎ-জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ বিধান বাতিলের পর সব ক্ষেত্রেই দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। সম্প্রতি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির পর ১২টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে সরকার। বিগত সরকার এসব ক্রয়-প্রক্রিয়া সরাসরি দর-কষাকষি বা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে করে আসছিল। এর ফলে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 
বিদ্যুৎ খাতে এই মুহূর্তে কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। রামপাল, মাতারবাড়িও সংকট কাটিয়ে উৎপাদনে ফিরেছে। দুই-একদিনের মধ্যে পায়রাও পুনরায় উৎপাদন শুরু করবে। শীতকাল হওয়ায় এখন চাহিদাও অনেক কম। সেই তুলনায় আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা অনেক বেশি। সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোরও দরপত্র কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমরা বলব বিদ্যুৎ খাত বেশ স্বস্তিতেই রয়েছে। গ্যাসের সংকট কিছুটা থাকলেও তা আমরা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।

×