ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালন ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছে বিপ্লবের পথ ধরে আসা সরকার। কিন্তু যাদের অবদানের নতুন এক ভোরের দেখা পেল বাংলাদেশ কেমন আছে তারা?
সাভারের প্রেসক্লাবে পিয়নের কাজ করা মঞ্জয় মল্লিক ৫ আগস্ট পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ সরাসরি তাকে গুলি করে। এতে এক হাত হারান তিনি। পরিবারের হাল ধরার কথা ছিল তার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল ইলাহী ১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবনে বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রক্ষা পাননি নিজে।পুরো শরীর ঝাঁঝরা হয় গুলিতে। এখনো শরীরে বহন করছেন ৬৫টি স্প্রিন্টার। হারিয়েছেন একটি চোখ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দৃষ্টি হারিয়েছে ৫০০ জনের বেশি মানুষ তার মধ্যে ছাত্রই ৯০%। এ সময়ে দৃষ্টি হারান পাঁচ শতাধিক মানুষ। পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১ জনের কেটে ফেলা হয়েছে হাত-পা। ঢাকা মেডিকেল কলেজেও চলছে বিপ্লবীদের চিকিৎসা। ১৩ ই নভেম্বর সুচিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন করে বিপ্লবীরা। এরপরও কি তারা সুচিকিৎসা পাচ্ছে?
আন্দোলনে রক্তপাত, লাশের সারি ও বীভৎসতার কারণে ট্রমায় ভুগছে ২১ হাজার মানুষ। চিকিৎসকরা বলছেন যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে আছেন তাদের ৭০% বিষন্নতা ও হতাশা জনিত সমস্যা ভুগছেন এবং যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। আর যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বজনদের প্রতিটি দিন যাচ্ছে স্বজন হারানোর বেদনায়। শহীদ পরিবারের দাবি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হোক, বাড়ানো হোক আর্থিক অনুদানের পরিমাণ। জুলাই বিপ্লবে আহতদের ও শহীদ পরিবারের দেখভাল করতে গড়ে তোলা হয়েছে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, দ্রুত ও সুষম অর্থ বণ্টনের জন্য কাজ করছেন তারা।
নাহিদা