শুকরিয়া বোধ না থাকলে মানুষের মনে শান্তি থাকে না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারায় বান্দাদের কৃতজ্ঞ হতে বলেন। কেননা কৃতজ্ঞতা থাকলে, সেখান থেকে সন্তুষ্টি, আত্মতুষ্টি, শুকরিয়া বোধের জন্ম হয়।
আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদের অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা ইবরাহিম আয়াত নং ৭)।
বান্দা যত বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, শুকরিয়া আদায় করবে আল্লাহতায়ালা তত বরকতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। ব্যবসা, ধন-সম্পদ, সংসারে শান্তি, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে সময়ের সুসময় বণ্টনের মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি দান করবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মতদের শিখিয়েছেন সর্বাবস্থায় আল্লাহর রিজিক ও নিয়ামত নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে। শুকরিয়া আদায় করতে। মুসলিম ও তিরমিজি শরিফে চমৎকার একটি হাদিস আছে এ নিয়ে।
হাদিসটি আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে অর্থাৎ আল-হামদু লিল্লাহ পড়ে। (মুসলিম ২৭৩৪, তিরমিজি ১৮১৬)। কেননা আসমান ও জমিনের দুইয়ের মাঝে যা কিছু আছে সব মানুষের জন্য নাজিল করেছেন। একথা তিনি কুরআনে সূরা বাকারায় ঘোষণা করেন।
আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, তিনিই জমিনে যা আছে, সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা-বাকারাহ : ২৯)। জমিনের নিয়ামত মানুষের ওপর তখনই বরকতময় হবে যখন সে শুকরিয়া আদায় করবে।
শুকরিয়া আদায়ে যেমন পুরস্কারের ঘোষণা আছে, অকৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য শাস্তিও আছে।পবিত্র কুরআনে সূরা কাহাফের ৩২-৪১ নাম্বার আয়াত জুড়ে আল্লাহতায়ালা একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। যারা নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে দাম্ভিকতায় লিপ্ত হয় আল্লাহতায়ালা তাদের যুগে যুগে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকেন।
এসআর