বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়ে
সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনাও এখন ই-জিপির মাধ্যমে হচ্ছে। বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ পরিদর্শন করেছে। ই-জিপি সিস্টেম ৪টি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে যা বর্তমানে দেশে বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) আয়োজনে বিপিপিএ’র কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি একথা বলেন ।
বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মির্জা আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন, পৌর প্রশাসক এসএম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তালেব সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা, ব্যাংক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ।
মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৬৫ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৭.৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে আর ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১.৫৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে।
আইএমইডি সচিব বলেন, আইন ও বিধিমালার সংস্কার আনা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করা প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির নিরবচ্ছিন্ন তদারকির জন্য ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ই-পিএমএস পোর্টাল চালু করেছে আইএমইডি।
ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেম প্রবর্তনের এর অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সিস্টেমটি পূর্বন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) অধীনে চালু ছিল যা এখন বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশব্যাপী সামগ্রিক ক্রয় কার্যক্রম তদারকি করার জন্য বিপিপিএকে বর্ধিত শক্তি ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিপিপিএ’র উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু বিগত শাসনামলে কোন অগ্রগতি হয়নি এবং এখন তা করব।“
তিনি বলেন, টেন্ডারে ১০ শতাংশ প্লাস মাইনাস দিয়ে মূল্য উদ্ধৃত করার বিধান একটি বড় সমস্যা এবং এটি বাদ দিতে হবে, কারণ এখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয়। বর্তমান সরকার এ সমস্যা নিরসনে সাড়া দিয়েছেন এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে যথাযথ সংশোধন করার নির্দেশনা দিয়েছেন ।
মির্জা আশফাকুর রহমান আইন সংশোধনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ), ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর), ২০০৮ -এর কিছু বিধি সংশোধনের বিষয়ে অবহিত করেন।
বাজেট অর্থায়নে সরকারকে সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি সংশোধনের জন্য ১১টি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে এবং তিনটি বিপিপিএ’র-এর সাথে সম্পর্কিত।
এ বিষয়ে বিপিপিএর বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিপিপিএ ওটিএম থেকে ১০ শতাংশ ক্যাপ তুলতে কাজ করছে।
আর কে