মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের নাম হল মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের মায়ের নাম হল মুক্তিযুদ্ধ ।মুক্তিযুদ্ধের পেট ছিড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাংলাদেশ বের হয়েছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করেন না তারা বাংলাদেশের উপদেষ্টা হইয়েন না। তারা অন্য দেশের উপদেষ্টা হন।
ফজলুর রহমান বলেন, আমি একদিনই মুক্তিযোদ্ধা হইনি। আমি মুক্তিযোদ্ধা হয়েছি ১৯৬৯ সালের ১৪ই নভেম্বর ইকবাল হলের সিরাজুল খানের হাতে বড় পুকুরের পাড়ে বসে সুবহে সাদিকের সময় আঙ্গুলের রক্ত দিয়ে আমি শপথ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। যদিও সিরাজুল আলম খান মৃত্যুবরণ করলে একদিনের জন্যও শোক তো দূরের কথা একটু কালো পতাকাও দেখায়নি। যাইহোক সেই মুক্তিযুদ্ধে আমি গিয়েছে । আমি ১৯৬৪ সনে এসএসসি পাস করেছি। ৬০ বছর যাবত একটিভ পলিটিক্স করতেছি।
ফজলুর রহমান আরও বলেন, ৬৯-এ তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। ৭০-এ রক্ত সূর্য উঠেছে বীর বাঙালি জেগেছে। ৭১-এ জয় বাংলা। এভাবে আমরা এগিয়েছি এই পর্যন্ত। আমাদের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পিছনে আরেকজন অদৃশ্য গার্ডিয়ান ছিলেন সে হলো মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ১৯৭০ সালে যদি মাওলানা ভাসানী গোপনে ইলেকশন ছেড়ে ”হারামজাদার জনগণ রইল তোদের নির্বাচন আমরা গেলাম সুন্দরবন” এই কথা বলে যদি মাওলানা ভাসানী নির্বাচন না ছাড়তো তাহলে এত এবসুলেট ম্যাজুরিটি বাঙালি হতো না ।মাওলানা ভাসানী একজন মারাত্মক লোক, যে কারণে উনি মুক্তিযুদ্ধে গেছে সেই মুক্তিযুদ্ধ আমি গেছি এপ্রিল মাসে। জুন মাসে প্রথম যুদ্ধ করেছি তামামিল জাফলং।
আপনি যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছেন তা বাস্তবায়ন কতটুটু এমন প্রশ্নের জবাবে ফঝলুর রহমান বলেন,
আমি যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছি তা আসলে বাস্তবায়ন হয়নি। আমি পলিটিক্স করেছি ফিদ্দুনিয়া পলিটিক্স! মানে হল ধর্মনিরপেক্ষ পলিটিক্স, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সম্প্রদায়িকতা হিন্দু নয় মুসলিম নয় সকলের জন্য আমি সেই পলিটিক্স করেছি। আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি কারণ এখন আমি দেখি দুইটি মিছিল বের হয় একটি মন্দির থেকে একটি মসজিদ থেকে.।
রাজপথের কোন মিছিল নাই, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন মিছিল নাই, কল কারখানায় কোন মিছিল নাই, মিছিল বের হয় মসজিদ থেকে মন্দির থেকে আমার স্বপ্ন বৃথা গেছে।
সাইদুর