সংগৃহীত ছবি।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন (এএফসিপি) প্রোগ্রামের আওতায় দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ২৫ হাজার থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত অর্থায়ন করা হবে।
আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে এএফসিপি বিষয়ক তহবিলের জন্য কনসেপ্ট নোট জমা দিতে হবে।
১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে এএফসিপি ২০২৫ গ্রান্টস প্রোগ্রামের বিষয়ে এ তথ্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, যারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে আগ্রহী।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ইউএস এমব্যাসির কালচারাল অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ ফারোহা সুহরাওয়ার্দী এবং পাবলিক এনগেজমেন্ট স্পেশালিস্ট জোনাথন গোমেজ। তারা এএফসিপি ২০২৫ প্রোগ্রামের আবেদন প্রক্রিয়া এবং অনুদান পাওয়ার সুযোগগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এএফসিপি একটি বার্ষিক প্রোগ্রাম, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করে। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ভবন, প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট, পাণ্ডুলিপি, যাদুঘর সংগ্রহ এবং আদিবাসী ভাষা ও কারুশিল্পের মতো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি। এই প্রোগ্রামের অধীনে পঁচিশ হাজার থেকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হয়, যা সাংস্কৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, পুনর্স্থাপন এবং পুনঃস্থাপন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়।
ফারোহা সুহরাওয়ার্দী বলেন, ‘এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সহায়তা প্রদান করে, যা কেবল স্থানীয় সম্প্রদায়ের পরিচয় গঠনে সহায়ক নয়, বরং বৈশ্বিক ইতিহাসের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি অংশগ্রহণকারীদের ঐতিহাসিক স্থান, স্মৃতিসৌধ এবং ঐতিহ্যবাহী প্রথাগুলির সংরক্ষণের জন্য অনুদান আবেদন করতে উৎসাহিত করেন; বিশেষ করে যেগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পরিবেশগত বিপদ বা নগরায়নের ফলে হুমকির সম্মুখীন।
অধিবেশনটি শেষে জানানো হয়, কনসেপ্ট নোট জমা দেয়ার জন্য শেষ সময়সীমা ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। নির্বাচিত আবেদনকারীদের মার্চ ২০২৫-এ পূর্ণ প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রিয়াদ
