ছবিঃ সংগৃহীত।
নারায়ণগঞ্জে আহমদ উল্লাহ নামে সাদপন্থি এক মুসল্লি তওবা করেছেন ইজতেমার ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, টঙ্গী ইজতেমার ময়দানের ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে সাদপন্থি আহমদ উল্লাহ হেফাজত নেতা ও জুবায়েরপন্থি শায়েখ মাওলানা আবদুল আউয়ালের নিকট তওবা করেন। এ সময় ওই সাদপন্থি মুসল্লির পাশে মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে দেখা যায়।
ভিডিওতে সাদপন্থি এক মুসল্লিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আহমদ উল্লাহ। আমার বাড়ি ফতুল্লা সস্তাপুর। আমি গত বুধবার ফজরের নামাজ শেষে ভোরে সেখানে গিয়েছি (গাজীপুর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায়)। সেখানে (ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ) ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমি অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি। আমি এখন ওলামাদের সঙ্গে আছি। আমি তওবা করেছি, আমাকে আলেম ওলামাদের সঙ্গে রাইখেন।
ইজতেমার ময়দানে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সাদপন্থি হলেও কাউকে মারধর করিনি। আমি সড়কের দিকে ছিলাম। আজ থেকে আর সাদপন্থি হয়ে কাজ করবো না। আমার অনেক ভালো ভালো আলেম-ওলামাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি আগামীতে ওলামাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
এসব কথার প্রতি উত্তরে ভিডিওতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও জুবায়েরপন্থি মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, উনি আর সাদপন্থি করবেন না। তিনি না বুঝে এতদিন করেছেন। আল্লাহ যেন তার তওবাকে কবুল করেন। তিনি যেহেতু তওবা করে ফিরে আসছে তিনি এখন থেকে আমাদের ভাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল কালবেলাকে বলেন, আহমদ উল্লাহ সাদপন্থি। সে ইজতেমার ময়দানে গিয়েছিল। ফলে অনেক লোকজন তাকে পেয়ে আটকে রাখে ও মারধর করতে চেয়েছিল। পরে আমি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ডিআইটি মসজিদের দিকে গিয়ে তার কাছে জানতে চাই; আপনি এ ধরনের ভুল কেন করলেন। তখন তিনি তওবা করে আমাদের জানায় সে আর সাদপপন্থি কর্মকাণ্ডে থাকবে না। পরে তাকে আমরা নিরাপদে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
তওবা করে ওই ব্যক্তি কি জুবায়েরপন্থি হিসেবে কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকবে কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আর সাদপন্থিদের সঙ্গে নেই সেটা জানিয়েছেন। তবে জুবায়েরপন্থিদের কর্মকাণ্ডে থাকবেন কিনা তা বলেনি।
রিয়াদ