ছবি: সংগৃহীত
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ-উর রহমান বলেছেন, "ভারত নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করলে, আমরা ন্যায্য অধিকার নিয়ে কথা বলব।"
তিনি বলেন, ভারতের আচরণ ঔপনিবেশিক মানসিকতার পরিচায়ক। ড. ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার আগেই প্যারিস থেকে ভারতের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার প্রতিটি সাক্ষাৎকার মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা আমাদের ন্যায্য ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই। সীমান্তে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি এবং আদানি চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। ড. ইউনুস হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াকে এসে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এক স্বাধীন দেশের সরকারপ্রধানের মতোই দায়িত্বশীল আচরণ করছেন।
ডা. জাহেদ বলেন, বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো ভুল আমি দেখতে পাই না। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যদি শেখ হাসিনার মতো নতজানু নীতির ওপর ভিত্তি করে হতে হয়, তা আমরা মেনে নিতে পারি না। একইসঙ্গে আমরা ভারতের সঙ্গে সংঘাতও চাই না। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা যেমন ভারতকে গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনই ভারতের নিরাপত্তা সম্পর্কেও আমাদের নজর রাখতে হবে। কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
তিনি যোগ করেন, এর বাইরে ভারতের সিদ্ধান্ত তাদের। তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়, তা তাদের ঠিক করতে হবে। তবে আমি অবাক হই, ভারত প্রায়ই এমন সিদ্ধান্ত নেয় যা তাদের নিজেদের ক্ষতির কারণ হয়। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই এসেছে, বাংলাদেশিদের অভাবে তাদের দোকানপাট ও হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার পথে।
তিনি বলেন, ভারত চায় আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। আমরাও চাই, আমাদের মেরুদন্ড ঠিক রেখে সম্পর্ক করব।
এম.কে.