ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী ফ্যাঁসিবাদের শেকড় পাকাপোক্ত করতে ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যারা অনবদ্য, নির্লজ্জ ও জঘন্য ভূমিকা রেখেছে প্রত্যক্ষ্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অন্যতম কুশিলব সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ছাত্র-জনতার রক্তস্রত যখন বিজয়ের খুব কাছাকাছি এমনই সময়ে দেশবাসী দেখেছে পলকে-পলকে পুলকিত ইন্টারনেট! বন্ধ ইন্টারনেট, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দেশ-দুনিয়ায় কারো সাথে কারো বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই। চলছে নির্বিচারে গণহত্যা। ছাত্র-জনতার গণহত্যার নেপথ্য কারিগর পলক নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জানান, তিনি বোবা হয়ে আছেন, কোনো কথা বলতে পারছেন না। সাংবাদিকদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বোবা হয়ে দোয়া চেয়ে আবারও আলোচনায় পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে (মঙ্গলবার দুপুর) প্রিজনভ্যানে তোলার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা কেমন আছেন? জানতে চাইলে পলক এ সব কথা বলেন।
পলকের এই বোবা তত্ত্বের রহস্য কী? কিংবা রসায়ন!
নাকি শুধুই কথার কথা, আর দশজন আসামীর মতো।
‘আবারো তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- কেমন আছেন?
তিনি জানান, "আপনারা মুক্ত আছেন তো, আমরা বোবা" তৎক্ষণাৎ হাতের একটি আঙুল মুখে চেপে ধরে সবাইকে চুপ থাকার ইশারা করেন। এর পর মৃদু পায়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন।
জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার’ এ মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ ভিআইপি আসামীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয়।
ইসরাত