ছবি:সংগৃহীত
তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন সাদপন্থি মুফতী মুহাম্মদ শফিউল্লাহ মাক্কী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর এক নম্বরে মাওলানা সাদপন্থিদের সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড়ের কাজ করতে আসার পথে সাদপন্থি তাবলিগের সাথীরা জুবায়েরপন্থিদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গী কামারপাড়ায় ইজতেমা ময়দানের পাশে গাড়িবহরে নৃশংস হামলায় বগুড়ার সাথী বেলাল আহমদ (৬৫) নিহত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাদপন্থি তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। তাবলিগে মামুনুল হক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পক্ষগুলোর হস্তক্ষেপ ও বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে।
উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জুবায়েরপন্থিদের সহিংস কর্মকাণ্ড এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের পর থেকে সারা দেশে সাদপন্থিদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালানো হয়। নিকুঞ্জ মাদরাসায় হামলা করে হেফাজত ও জুবায়েরপন্থিরা। অনেক সাথী এখনো হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তা ছাড়া, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত সাথীদের সেবা গ্রহণেও বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
দাবিগুলো হচ্ছে—
১. আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে দিতে হবে।
৩. টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান সরকার নিয়ন্ত্রণে রেখে সাদপন্থিদের ইজতেমার আগে বুঝিয়ে দিতে হবে।
৪. আগামী বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সারাদেশে সাদপন্থিদের ওপর আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মসজিদে-মসজিদে বাঁধা সৃষ্টি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৬. তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তাবিব