ছবি: সংগৃহীত
ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ২টা থেকে ইজতেমা মাঠে জনগণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মাঠসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা তার অধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত, মিছিল বা সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোন ধরনের অস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক বা অন্যান্য বিপজ্জনক দ্রব্য বহন করা যাবে না। একই সঙ্গে, লাউড স্পিকার বা উচ্চস্বরে শব্দ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এটি গাজীপুরে সংঘটিত ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। গত রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হন এবং শতাধিক মুসল্লি আহত হন। এর ফলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) টঙ্গীর উত্তরা ও তুরাগ নদী সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
ডিএমপি বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকাসহ ওই অঞ্চলের যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল বা বিক্ষোভ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং জনস্বার্থে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া, টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না হওয়ার জন্য সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আশিকুর রহমান